জামালপুরে গরীবের চাল চুরির হিড়িক

মোহাম্মদ আলী : জামালপুরে ঈদ ও গরীবের চাল চুরি দুইটি ঘটনাই অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। ২দিন আগে ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে ৬শ ৩বস্তা তার ২দিন পর পৌরসভার একটি গোদাম থেকে ২শ ৬বস্তা চুরাই চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে ২শ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করা না গেলে ঈদের আগে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জেলাবাসী।
জানা যায়, ঈদ এলেই জামালপুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিএফ ও ভিজিডি,র চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। প্রতিবছরই বেশকয়েকটি উপজেলায় ভিজিএফ, ভিজিডির চুরাই চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় বাদ যায়নি এবারের ঈদেও।
গত সপ্তাহে জেলার ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁচিহারা গ্রামে কালোবাজারি আনোয়ার এর বাড়িতে ৬শ ৩বস্তা ভিজিডির চাল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসপ্তাহে পৌরসভাস্থ এক গোডাউন থেকে ২শ বস্তার বেশি চাল উদ্ধার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়া গতকাল সরিষাবাড়ি উপজেলা জেলার মহাদান ইউনিয়নে ২শ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
জেলার ইসলামপুর উপজেলার একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, জামালপুরে গরীবের চাল চুরি বা আত্মসাৎ নতুন কোনো ঘটনা নয়। কোনো চেয়ারম্যান ডিও পাওয়ার পর গুদাম থেকে, কেউ পরিষদে নেওয়ার সময় রাস্তায়, কেউ আবার পরিষদের গুদাম থেকে কালোবাজারিদের মাধ্যমে নামে বেনামে গরীবের চাল চুরি বা আত্মসাৎ করে থাকে। এবার তো ৫ মাসের ভিজিডির চাল একসাথে উত্তোলন করেছে চেয়ারম্যানরা। কার্ডধারীদের নয়ছয় বুঝিয়ে সেই চাল আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে অনেকেই। যার কারণে প্রায় প্রতিদিনই সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্ব পালনে আন্তরিক না হলে জামালপুরে এ ঘটনা আরও ঘটবে বলে, মনে করেছেন তিনি।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তৌহিদুর রহমান বলেছেন, উদ্ধারকৃত চালগুলোর ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত পরবর্তী জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ততক্ষণে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসীর দাবি, তদন্ত কার্যক্রম যেন সময়ের অতল গহবরে হারিয়ে না যায়। প্রকৃত দোষী যেন বেরিয়ে আসে এবং শাস্তি পায়।