দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আইনজীবী- আব্দুল আজিজ।শুক্রবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন- অবিরাম সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। সেই সাথে বাড়ি ফেরা মানুষ গুলো ভাল ভাবে ঈদ পালন করতে পারে।
এবং ঈদ এর আনন্দ শেষ করে আবার যাতে কর্ম সংথানে যোগ দিতে পারে সকলের জন্য শুভ কামনা রইল।পরম ত্যাগের নির্দেশনা স্বরুপ কোরবানী বা ঈদুল আযহা পালন করা হয় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। ঈদুল আযহার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহ’র নৈকট্য লাভ করা। সেজন্য বিশ্বমুসলিম ঈদুল আযহার উৎসবে মিলিত হয়। মনের অশুভ অন্ধকার দুর করে সহজ-সরল-অনাড়াম্বর জীবন যাপনের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তষ্টি অর্জনের মূল শিক্ষার উৎসই হচ্ছে পশু কোরবানী। কোরবানীর মহিমান্বিত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহ’র নিকট নিজেকে সমর্পণ করা এবং মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। দেড় দশনের দানবীয় দুঃশাসনের যাঁতাকল থেকে জনগণ খানিকটা স্বস্তি পেলেও চূড়ান্ত মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। নানা ধরণের কুটিল চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ে মহল বিশেষ ক্রমাগত জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালার কুরবানীর বিধান মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই কার্যকর হয়ে এসেছে। শ্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদন ও অনুপম আদর্শের প্রতীকি নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতি বছর পশু কোরবানী দেয়, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা পায়। কোরবানীর ঈদ বিশ্বমুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিটি উৎসবই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের চিত্তবৃত্তি ও ঔদার্য প্রসারিত করে। উৎসব মানবজাতিকে সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করে। সামাজিক অন্ধকারের গহন থেকে মানবিক আলোর ভূমিতে সমবেত করে। সুতরাং ত্যাগের মহিমায় সকল স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবকল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সোহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি-কায়েমী স্বার্থকে এড়িয়ে ঈদুল আযহার এই আনন্দ, ত্যাগ ও উৎসবের দিনে অসহায়-নিরন্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার।