মোহাম্মদ আলী ; সব মা-ই তার সন্তানদের জন্য কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেন। তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তাঁদের সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে সমাজে তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করে। দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করে।
কিন্তু, সব মায়ের সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখে না। তাঁদের কষ্ট ও ত্যাগ সফলতার গন্তব্যে পৌঁছায় না। লাখে হাজারে দুই একজন সৌভাগ্যবতী মা আছেন যাদের কঠোর অধ্যাবসায় তাঁদের সন্তানরা সফলতার চূড়ায় আরোহন করতে সক্ষম হয়। সমাজে তাঁরাই দৃষ্টান্ত হন। গর্বিত রতœাগর্ভার স্বীকৃতি পান। তাঁদের একজন আমাদের গ্রামের ( পাথালিয়ার) গৃহবধূ, জাতির সূর্যসন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মরহুম আব্দুল কুদ্দুস পঙ্খীর স্ত্রী, সুলতানা রাজিয়া ( ৬৩ )। যিনি তাঁর চার চারজন মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করিয়েছেন।
সম্প্রতি, সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মতো করার ক্ষেত্রে তাঁর এ অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি রতœাগর্ভা ও জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
২০১৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জামালপুর জেলা শাখা কর্তৃক রতœাগর্ভা মা, ২০২১ সালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা এবং ২০২৩ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়জিত শ্রেষ্ঠ সফল জননী জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন।
রতœাগর্ভা মা সুলতানা রাজিয়ার ৪ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে সাবরিনা আক্তার (৩৮), ২০০৮ সালে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা শাখায় অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি জামালপুর জেলার পাথালিয়া গ্রামের গুয়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মেজো মেয়ে উর্মিকা তামান্না (৩৬), একই কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করছেন। বর্তমানে তিনি সোনালী ব্যাংক, জামালপুর বিসিক শাখার, ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সেজো মেয়ে ডাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসী আরবী (৩৪), ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ছোট মেয়ে ডাঃ নিশাত আনাম (৩২), এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন যশোহর মেডিক্যাল কলেজ থেকে। তিনি আছেন জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে।
শুক্রবার, জীবন যুদ্ধে সফল ও স্বার্থক এই নারীকে গর্বিত মা হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে ফেসবুক গ্রুপ ” আমাদের পাথালিয়া “।
তিনি একজন রত্ন গর্ভা মা শ্রেষ্ঠ জয়িতা
