জামালপুর হাসপাতালে ভুয়া রসিদে লেনদেন করার অভিযোগ

মোহাম্মদ আলী : ভূয়া রসিদে লেনদেন করার অভিযোগ উঠেছে জামালপুর ২৫০শয্যা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি এই অঞ্চলের সেবা প্রত্যাশীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। জামালপুর ছাড়াও শেরপুর, কুড়িগ্রাম ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ সেবা নিতে আসেন এই হাসপাতালে। আউটডোর ও ইনডোরে মিলে প্রতিদিন শত শত মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। এইসব রোগীদের রোগ নির্ণয়ের বেশীরভাগ পরীক্ষা হাসপাতালেই হয়। রোগীরা সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে এ সেবা নিতে নেন।
নিয়মিত সেবা নেন এমন কিছু রোগী ও রোগী প্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্যাথলজিক্যাল বিভাগে দায়িত্বরত কতিপয় কর্মচারী ভূয়া রসিদের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে। তারা কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে অফিসিয়াল রসিদ ব্যবহার না করে কোনো কোনো সময় তাদের তৈরি করা গোপন রসিদ ব্যবহার করে। আর সেই ভূয়া রসিদের মাধ্যমে আদায় করা অর্থ তারা অফিসে জমা না দিয়ে নিজেদের পকেটে ভরে। এইভাবে চক্রটি প্রতিমাসে হাতিয়ে নেয় লক্ষাধিক টাকা।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫জুন থেকে ২০জুন পর্যন্ত অনুসন্ধান করে কিছু রসিদ সংগ্রহ করা হলে তাতে অসঙ্গতির আলামত পাওয়া যায়। যা দৈনিক আজকের জামালপুর এর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া গোপনসূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক অনুসন্ধান করছে জানতে পেরে সব ভূয়া সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এব্যাপারে প্যাথলজি বিভাগের কর্মচারী আমিনুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিভাগের কোনো দায়িত্বরত কর্মচারী কোনো ভূয়া রসিদ ব্যবহার করে বলে আমার জানা নেই।
তিনি এ নিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, ডাক্তার তরিকুল ইসলাম রনি বলেন, হাসপাতালে কোনো ভূয়া রসিদ ব্যবহার করার সুযোগ নেই। তবে, সরকারি রসিদ সব সময় সরবরাহ না থাকলে বাহির থেকে রসিদ সংগ্রহ করে ব্যবহার করার ব্যাপারে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি রয়েছে।
হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষা ও অর্থের তছরুপ ঠেকাতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী।