রৌমারী সংবাদদাতা : রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ইউনিয়নের পুরাতন যাদুরচর গ্রামের ভিতর দিয়ে যাতায়াতের গ্রামীণ সড়কটি একটি অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মানের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার ১২ গ্রামের বাসিন্দাদের।
দুবলাবাড়ি, কলাবাড়ি, বাওয়াইরগ্রাম, কাশিয়াবাড়ি, খেওয়ারচরচর, বারবান্দা, চুলিয়ারচর, ঝাউবাড়ি ও যাদুরচরসহ ১২ টি গ্রামের মানুষদের যাতায়াতে এ ব্রীজটি ব্যবহার করতে হয়। ব্রীজটির দু’পাশ রাস্তা থেকে প্রায় ১৫ ফিট উচু হওয়ায় ব্রীজটি দিয়ে কোন গাড়ী চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে সেতুর মূল সুবিধা থেকে বঞ্চিত পথযাত্রী, স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী ও রোগীদের যাতায়াত এবং এলাকাবাসী তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেয়া করতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫ সালে পুরাতন যাদুরচর ও দুবলাবাড়ি যাতায়াত সড়কের মাঝামাঝি ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রায় ২০টি উচু ৫০ ফিট লম্বা ব্রীজটির নির্মান কাজ সম্পন্ন শেষ হয়। সেতুটির দু’পাশের রাস্তার সঙ্গে মিল রেখে নির্মানের দাবী জানালেও তৎকালিন প্রকল্প কর্মকর্তা ও ঠিকাদার বিষয়টি আমলে নেয়নি বলে জানান ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এব্যাপারে সরেজমিনে ব্রীজটি দেখতে গেলে ওই এলাকার সুরুজ্জামাল, আনিচ, অভিযোগ করে বলেন, ব্রীজটি আমাদের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফসল। কিন্তু অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মানের কারনে এর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বেশ ভোগান্তিতে রয়েছি।
রুহুল আমিন, ময়নাল হক জানান, এ ব্রীজটির পাশেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিশুরা বেশ কষ্ট করে এ সেতু দিয়ে পার হয়। এছাড়াও জমি থেকে ফসল আনা নেয়ায় বেশ কষ্ট করতে হয়। ব্রীজটি দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য দাবী জানান তারা।
যাদুরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, এ ব্রীজটি নির্মানের সময় আমাকে জানানো হয়নি। তবে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মান করা হয়েছে। যে কারণে সুুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মানুষ।
এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামুসুদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। ব্রীজটি চলাচলের এষিয়ে আমাকে কেউ জানায় নি। তবে সেতুটি যদি ক্রটিপুর্ন হয়ে থাকে তাহলে আমরা এটা যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করবো।
রৌমারীতে অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মানে ১২ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
