ইসলামপুর সাপধরী ইউনিয়নের কোদালধোঁয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম যমুনা নদী ভাঙ্গনের কবলে

oplus_2

ওসমান হারুনী : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রাম যমুনা নদী ভাঙ্গনে মানুষের বসতভিটা ও হাজার হাজার এক ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে সাপধরী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ।
জানা গেছে, উপজেলার যমুনার দ্বীপচর মডেল ইউনিয়ন হিসাবে ঘোষিত সাপধরী ইউনিয়নের কাশারীডোবা ডাম্পিং স্পট থেকে মন্ডলপাড়া পর্যন্ত তিন হাজার মিটার এলাকা জুড়ে যমুনার ছোট্ট একটি শাখা নদীর বামতীরে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন চলছে। এতে ক্রমান্বয়ে নদীগর্ভে বিলীন হবার হুমকির মুখে রয়েছে সাপধরী ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডের অন্তত: ১০টি গ্রাম। তন্মধ্যে কাশারীডোবা পয়েন্টে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি মাত্র ২১০ মিটার এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে বালি ভর্তী জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ডাম্পিং করেছেন এবং আরো প্রায় দুইশ মিটার এলাকা জুড়ে বাঁশের পাইলিং করা হয়েছে। এতে কাশারীডেবা ডাম্পিং পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন থেমে গেছে। তবে কাশারীডোবা ডাম্পিং স্পটের উজানে দুইশ মিটার এবং ভাটিতে আরো অন্তত: দুই হাজার পাঁচশ মিটার এলাকায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছ। এসব এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে নদীটির বাম তীরে প্রয়োজনীয় বালি ভর্তী জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ডাম্পিং করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় সদ্য সমাপ্ত দুই কোটি টাকা ব্যায়ের ডাম্পিং স্পটের পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহ সহ সাপধরীর ১০টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।।
অপরদিকে সাপধরী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত যমুনার অপর একটি শাখা নদীর ডান তীরে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। যমুনা পানি হ্রাস বৃদ্ধিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাপধরী কটাপুর ভায়া কোদালধোঁয়া হয়ে আইড়মারী পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় যমুনা ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি,ফসলী জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে এখনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা না নিলে সাপধরী ইউনিয়নের কটাপুর, কোদালধোঁয়া, দক্ষিণ কোদাল ধোঁয়া, আইড়মারী, জিগাতলা, ভাংবাড়ীসহ ৫টি গ্রামের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি ইদগাহ মাঠ, ব্রিজ-কালভার্টসহ ২০হাজার মানুষের চলাচল, বসতবাড়ি, হাজার হাজার একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে যাবে।
এছাড়াও সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি, চরশিশুয়া, বিশরশি ও মন্ডলপাড়া গ্রাম সমূহের দুই পাশ দিয়ে প্রবাহিত দুইটি নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে দিন দিন যমুনার পেটে হারিয়ে যাচ্ছে সাপধরীর এক, দুই ও চার নম্বর ওয়ার্ড সমূহের বিস্তীর্ণ জনপদ ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
এব্যপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন, সাপধরী কাশারীডোবা পয়েন্টে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কাজ চলমান। পর্যায়ক্রমে খোঁজ খবর নিয়ে সাপধরী অন্যান্য এলাকার নদী ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।