তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে প্রাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবিতে সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে নারী মৈত্রী ও প্রাইম ইউনিভার্সিটির আয়োজনে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি” শীর্ষক দিনব্যাপী এক সিগনেচার ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দিয়ে তাদের অবস্থান জানান। সিগনেচার ক্যাম্পেইন উদ্ভোদন করেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড: আবদুর রহমান করেন।এই ক্যাম্পেইন থেকে সংগৃহীত স্বাক্ষরগুলো প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।

ক্যাম্পেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উল্ল্যেখযোগ্য প্রস্তাবনা গুলো তুলে ধরেন। সংশোধনী প্রস্তাবনাগুলো হলো- পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা, সকল ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং তামাকের মোড়কের সচিত্র সতর্কবার্তা শতকরা ৯০ ভাগ করা ।

নারী মৈত্রীর ইয়ুথ এডভোকেট এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিব বলেন “ প্রতিদিন ৪৪২ জন মারা যায় শুধু তামাকের জন্য। তামাকের কারণে মাশুল দিচ্ছে তারাও যারা এর ব্যবহারকারী নয়। আমরা এই মৃত্যুর মিছিল চাই না। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস না হলে তামাক এর কারণে পরের মৃত্যুটা হয়তো আমাদেরই কারোর। তাই লক্ষ জীবনের অকাল মৃত্যু ঠেকাতে তামাক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করুন”।

বাংলাদেশে প্রতিদিন হাজারো মানুষ তামাকের বিষে নিঃশব্দে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমন্বয়কারী নাসরিন আক্তার জানান, তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্যতম। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহার করেন এবং টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০১৮-এর তথ্য বলছে, তামাকজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এসব বাস্তবতা তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের আহ্বান জানান, যাতে আরও প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।