বকশীগঞ্জে বাট্টাজোড় নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ; জামালপুরের বকশীগঞ্জের বাট্টাজোড় নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাট্টাজোড় জিন্নাহ বাজার এলাকায় অবস্থিত ব্রাইট স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ইসমাইল হোসেন সিরাজী গত ১৫ জুলাই শিক্ষা সচিব, মাউশির মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে ২২টি অভিযোগ উল্লেখ্য করেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মামুনুর রশিদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আয়ের টাকা আত্মসাত ও অবৈধ শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগের পায়তারা করে আসছে। বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে বিভিন্ন পেশী শক্তি ব্যবহার করে আসছে। যা শিক্ষকের দ্বারা আইন বহির্ভূত এবং চাটুকার। অভিযাগে মামুনুর রশিদকে নকলবাজ ও সুদখোর বলেও উল্লেখ করেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী। তিনি খুবই ধূর্ত একজন। বিভিন্ন কেজির শিক্ষার্থী নিয়ে তার বিদ্যালয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন। ২০২২ সালে নঈম মিয়ার বাজার থেকে সাকসেস একাডেমির ১৩ জন শিক্ষার্থীর গোপনে তার বিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রেশন করে রাখছেন। কিন্তু চন্দ্রাবাজ কলেজের বদনাম করার জন্য তাদের অভিভাবক বিভিন্ন কায়দায় চন্দ্রাবাজ কলেজে রেজিষ্ট্রেশন করে টাকা নেয়। এছাড়াও তার স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়ে মিছিল করায় শিক্ষার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছেন। তিনি সার্বক্ষণিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নামে/বেনামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে থাকেন। তিনি ২০২৫ সালে চন্দ্রাবাজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় (হল সুপার দায়িত্বে) তিনি তার প্রাইভেট পড়ানোর শিক্ষার্থীদের পাশ অথবা ভাল রেজাল্ট করে দিবে মর্মে অশুভ যোগাযোগ করে পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের চেষ্টা করেছে।
এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
এব্যাপারে বাট্টাজোড় নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপাপ্ত প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ, তার বিরুদ্ধে উঠা গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।