ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য : মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২০২৫-২৬ সেশনের প্রথম কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা জেলা ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির মামুনুল হক। অধিবেশন পরিচালনা করেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন।

এতে মামুনুল হক বলেন, রাজনীতিকে আমরা পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখি– চাঁদাবাজি, রাহাজানি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি অপরিহার্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা ইসলাম ও দেশের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণকর ভূমিকায় অবিচল রয়েছি। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে ২২৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, বাকি আসনগুলোতেও খুব শিগগির ঘোষণা আসবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলের আমির বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখুন। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাদক ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে কাজ করুন।

শূরা সদস্যদের উদ্দেশে মামুনুল হক অনুরোধ করেন, খোলামনে মতামত দিন, সংগঠনের সম্ভাবনা ও দুর্বলতা নির্ভয়ে উপস্থাপন করুন। আমাদের লক্ষ্য একটি আদর্শ ও গতিশীল ইসলামী রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী সাংগঠনিক সম্প্রসারণে প্রায় ৫০টি জেলায় গণসমাবেশ, ৪০টির অধিক জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং বায়তুল মাল বিভাগে স্থানীয় পর্যায়ের সক্রিয়তা আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করেছে।

অধিবেশনে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, ভোটের অনুপাতে (এমএমপি) আসন বণ্টন পদ্ধতি চালু, জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত প্রকাশ, চলমান সংস্কারে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিফলন ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিলসহ ১৩টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

সাংগঠনিক রদবদল

সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদকের দায়িত্ব পরিবর্তন করে মাওলানা হাসান জুনাইদকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা নূর মুহাম্মদ আজীজকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মুফতি নূর হোসাইন নূরানী, মাওলানা সালাউদ্দিন, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী, ক্বারী হোসাইন আহমদ, জাহিদুজ্জামান (সভাপতি, যুব মজলিস)।

অন্যদের মধ্যে অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ড. মুন্সি মেহেরুল্লাহ, নায়েবে আমির মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, মুফতি সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান প্রমুখ।