রৌমারীতে ট্রিপল মার্ডারফাঁসির দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ : থানা ঘেড়াও

রৌমারী সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি সংক্রান্ত জেরে দুই ভাই ও ভাতিজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটায়। অভিযুক্ত আপেল, আঙ্গুুর, রাজু, ভুলু মিয়া, মিঠু, ইদু, নুর মোহাম্মদ, জাকির, মাইদুল, রাশেদুলের ফাঁসি ও রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমানের অবহেলার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও থানা ঘেড়াও করেছে এলাকাবাসী। ২৬ জুলাই শনিবার সকালে ভুন্দরচর, চর ফুলবাড়ি এলাকা ঘুরে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ শেষে মানববন্ধন করেন তারা।
বক্তারা বলেন, উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা ভুন্দরচর গ্রামে বাদী শাহজামাল, সোলেমান ও বিবাদী ফজলে করিম, ফজলে রহিম ও রব্বানিদের মধে দীর্ঘদিনের পারিবারিকভাবে জমাজমি বিষয়ে বিবাদ চলে আসছে। ১৯ জুলাই শনিবার সন্ধার দিকে রব্বানির ছেলে রাজু আহমেদের গরু শাহাজামালের ধানের চারা খাইতে ছিল। এমতাবস্থায় জমির মালিক শাহজামালের লোকজন গরুটি ধরে রাজুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে, বেধে রাখতে বলে। এর ক্ষোভে ফেঁপে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি দল শাহজামালের বাড়িতে এসে ভাঙচুর, লুটপাট ও ৫/৬ জন মহিলা পুরুষকে আহত করার ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে ২০ জুলাই রবিবার আহত নুরজাহান বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগ রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ কাহারো প্ররচনায় এবং বড় অঙ্কের অর্থের লোভে অভিযোগ ব্যবস্থা না নিলে। সুযোগ সন্ধানে প্রথম ঘটনার ৫ দিন পরে, রাগে ক্ষোভে বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে বল্লম, রাম দা, শুল্পিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ঘটনাস্থল জমির আশপাশে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখে। দুপুর ১ টার দিকে জমির মালিক বুলু, ফুলবাবু, নুর আলম, মজিবর ও আরিফ মেশিনে পানি দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে জমিতে যায়। এমন সময় ওৎপেতে থাকা আপেল, আঙ্গুর, রাজু, ভুলু মিয়া, মিঠু, ইদু, নুর মোহাম্মদসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল চতুর পাশে ঘিরে নেয়। তাদেরকে হুমকি ধামকি ও হত্যার হুমকি দেয়। তারা বাঁচার উদ্দ্যেশ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বুলু, নুর আলম ও ফুলবাবুকে আটক করে এ্যালোপাতারি নৃশংসভাবে কোপাতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনা স্থলেই তারা মারা যায়। অন্যদিকে মজিবর, আরিফ, নুরজাহান, ফুলুরানী তাদেরকে রক্ষা করতে গেলে তাদের উপর আঘাত করলে তারা আহত হয়।
মৃত বুলুর মেয়ে শাপলা, বোন শরিফা, মৃত ফুলবাবুর স্ত্রী ফুলুরানী, ভাই শাহজামাল, ওয়াজেদ আলী ও এলাকাবাসী জানান, গত ১৯ জুলাইয়ের এ সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগের বিষয় রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান মোটা অঙ্কের ঘুস খেয়ে বিষয়টি আমলে না নেয়ার কারনে প্রথম ঘটনার ৫ দিন পর তারা এমন নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়। আমরা সরকারের নিকট বিচার দাবীতে এলাকাবাসীী থানা ঘেরাও এবং সেই সাথে খুনি ব্যাক্তিদের ফাঁসি ও অফিসার ইনচার্জ লুৎফরের অবহেলার বিচারের দাবীতে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমানকে মোবাইল ফোনে বিক্ষোভ মানববন্ধন, থানা ঘেড়াও ও অনিয়মের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানার চেষ্টা করলে পাওয়া যায় নি।