নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুর সদর উপজেলার ১০নং শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর কুমারিয়া গ্রামে প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্বজনদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাত সংখ্যালুঘু রবিদাস (মুচি) সম্প্রদায় পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রবিবার দুপুরে দখল হওয়া জমিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভূক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে ফুলচাঁন রবিদাস বলেন,শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মো.শাহজাহান তার ভাতিজা একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো.জাকিউল ইসলাম রানা সরকার ও তাদের স্বজনরা আমাদের দুই একর ১৯ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। তিনি বলেন আমাদের মোট জমির পরিমান দুই একর ৭৯ শতাংশ হলেও দখলে রয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ জমি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই পরিবারগুলো তাদের ঘরে বিদ্যুৎ নেয়ার উদ্যোগ নিলেও মো.শাহজাহান দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্থাপনকৃত বিদ্যুতের খুঁটিগুলো তুলে ফেলেন। ফলে বহু বছর ধরেই ওই পরিবারের সদস্যরা রাতের বেলায় বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। তাদের সন্তানেরা রাতে কুপিবাতি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করছেন। সংবাদ সম্মেলনে মুচি সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.রফিক হাওলাদার,আলহাজ্ব মকবুল হোসেন,রুস্তম আলী,আব্দুল হক,আহ্সান হাবিব,জাকির হোসেন বলেন বহু আগে থেকেই আমরা বিরোধপূর্ণ জায়গাটিতে মুচি সম্প্রদায়ের লোকদেরকে চাষাবাদ ও বসবাস করতে দেখে আসছি।
শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো.রেজাউল করিম সোহেল বলেন,বিবাদমান ওই জায়গাটি নিয়ে মীমাংসার উদ্দেশ্যে আমরা একাধিকবার বৈঠকে বসলেও এখনো পর্যন্ত এর কোন সুরাহা করতে পারিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মো.শাহজাহান বলেন,ওই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সংখ্যালুঘু রবিদাস(মুচি) সম্প্রদায় পরিবারের লোকজন কখনোই ওই জমির মালিক না। ওদের দাবি অযৌক্তিক। তিনি বলেন বহু বছর আগে আমরা ওদেরকে আমাদের জমিতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি দিয়েছিলাম। তিনি বলেন ১৯৭২ সালের পর থেকে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না।
আ’লীগ নেতার দখলে থাকা জমি উদ্ধারের দাবিতে সংখ্যালুঘু পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
