বেসামরিক পুরস্কার ‘হিলাল-ই-ইমতিয়াজ’ পাচ্ছেন শহীদ আফ্রিদি

পাকিস্তানের অন্যতম কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। সাবেক এই অধিনায়ককে ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বেসামরিক পুরস্কার ‘হিলাল-ই-ইমতিয়াজ’ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নয়জন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদকে পুরস্কৃত করা হবে।

‘বুম বুম’খ্যাত অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তানের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৫২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে ১১ হাজার ১৯৬ রান এবং বোলিংয়ে ৫৪১টি উইকেট শিকার করেছেন। একই সময়ে জিতেছেন ২০০৯ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন শহীদ আফ্রিদি। খেলাধুলায় অসামান্য এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ প্রদান করা হবে।

আফ্রিদির পাশাপাশি ৮০০০ মিটারের বেশি উচ্চতার ১৪টি পর্বতশৃঙ্গ জয় করা পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ পর্বতারোহী শাহরোজ কাশিফ এবং প্রয়াত অশ্বারোহী মালিক মুহাম্মদ আত্তাকেও দেওয়া হবে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ। এই তিনজন ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পুরস্কার পাবেন।

এ ছাড়া চলতি বছর আইসিসির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক সানা মিরকেও ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’-এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সাবেক এই অফস্পিনার প্রায় ১৫ বছর পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। চলতি বছরের জুনে আইসিসির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটারও সারা মির।

একই পুরস্কারের (সিতারা-ই-ইমতিয়াজ) জন্য মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল প্যারা-অ্যাথলেট হায়দার আলীও। তিনি পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত চারটি পদক জিতেছেন, যার সর্বশেষটি গত বছর প্যারিস প্যারালিম্পিকে ডিসকাস থ্রোতে ব্রোঞ্জ।

ন্যাশনাল মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট শাহজাইব রিন্দ এবং কাবাডি খেলোয়াড় মুহাম্মদ সাজ্জাদ তাদের নিজ নিজ কৃতিত্বের জন্য প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড ফর প্রাইড অব পারফরম্যান্স পাবেন। এ ছাড়া স্কোয়াশ খেলোয়াড় হামজা খান, শ্যুটার মোহসিন নওয়াজ এবং টেনিস খেলোয়াড় রাশিদ মালিক মনোনীত হয়েছেন তামঘা-ই-ইমতিয়াজ-এর জন্য। এসব পুরস্কার দেওয়া হবে আগামী ২০২৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে।