জিল বাংলায় কৃষকের ঋণপত্রে জালিয়াতির ঘটনায় একজন সাসপেন্ড

খাদেমুল ইসলাম : আখ চাষীদের মাঝে বিতরণ সার ও বালাই নাকশকের পরিমান অতিরিক্ত দেখিয়ে অর্থ আতসাৎ করার অভিযোগে জিলা বাংলা চিনিকলের ইক্ষু বিভাগের ইক্ষু উন্নয়ন সহযোগি (সিডিএ) সোহেল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। মিলের ৪ ইউনিটে ৫২ জন আখচাষীদের মাঝে লোন হিসেবে দেওয়া সার ও বালাইনাশক দূনীতির অভিযোগ উঠেছে চাষীদের পক্ষ থেকে। জিল বাংলা চিনিকল ৫৪টি ইউনিটে বিভক্ত। আখ চাষ বৃদ্ধি ও আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করণে প্রতিটি ইউনিটে লোন হিসেবে চাষীদের মাঝে সুদযুক্ত সার, বীজ, বালাইনাশক সহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়ে থাকে। ২৮ নং ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সোহেল রানা ২০২৪-২৫ আখ রোপন মৌসুমে ৫৪টি ইউনিটের চাষীদের মধ্যে সার, বীজ, বালাইনাশক সহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করার দায়িত্ব পান। অভিযোগে জানা যায়, ৫২ জন আখ চাষীর ঋণপত্রে কাটা ঘষা মাজা ওভার রাইটিং এ দেখা যায় অধিকাংশ ভাউচারে একাধিক হাতের লেখা, পরবর্তীতে চাষীদের সার, কীটনাশক প্রদান করা দেখিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ উল্লেখ করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেন সিডিএ সোহেল মাহমুদ। আখ চাষীর সূত্রে জানা গেছে, মিলের ৫৪ ইউনিটের মধ্যে ৪টি ইউনিটে এমন অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়েছে। এমন হয়েছে যে, কৃষক সার নেননি, তারপক্ষেও সার বিতরণ দেখানো হয়েছে। আবার যে ১০০ কেজি সার নিয়েছে তার নামেও ১৫০/২০০ কেজি সার দেখানো হয়েছে। এরকম নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকায় আখ চাষীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মিল সূত্রে জানা গেছে, চাষীদের পক্ষে ঋণ বিতরণের ভাউচার অনুমোদিত হবার পর ভান্ডার রক্ষকের কাছে জমা দিয়ে সার কিটনাশক সহ অন্যান্য উপকরণ গ্রহণ করতে হয় চাষীদের। ঐ ভাউচার চাষীরা ফিরে পান না। ্ঐ সুযোগেই সিডিএ সোহেল দুর্নীতি করেছে বলে প্রকাশ। ২৬ নং ইউনিটের হাসেম, ২৯নং ইউনিটের আতিকুর ও মুখলেছ সহ অন্যান্যরা নয়া দিগন্তকে জানান, ভাউচারে ঘষা মাজা করে পরিমাণ অনেক বেশি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে ঐ সিডিএ। এব্যাপারে জিলবাংলা চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ আমিনুল ইসলামকে নয়াদিগন্তের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত সিডিএ সোহেল রানা সাংবাদিকদের জানান, হিসাবে কিছুটা ওলটপালট হয়েছে। তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।