জামালপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আলম ; জামালপুর সদর উপজেলার তারাগঞ্জ বাজারে একটি রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোলেমানের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী অঞ্জনা বেগম (৩৯) তাহার শশুর বাড়িতে মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা ও সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করেন পুলিশ তবে, অঞ্জনার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে তাকে তার স্বামী সোলেমান শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গত ২৭ আগষ্ট বুধবার ভোরে অঞ্জনা বেগমের হঠাৎ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তারাগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে শ্রীবাড়ি অবস্থিত সোলাইমানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। অঞ্জনার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেন কয়েক দিন অঞ্জনা বিষ পান করে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন পরে হাসপাতালে নিয়ে সুস্থ করে তোলেন গতরাতে বসত ঘরে গলায় উড়না পিচিয়ে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। স্থানীয়রা যখন তার মৃত্যুর খবর পেয়ে দেখতে এসে তারা জানান যে অঞ্জনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি এবং তাকে বাচাতে কোন চেষ্টা করিনি তার স্বামী বাড়িতেই অঞ্জনা মৃতদেহ পড়েছিল।
অঞ্জনা বেগমের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে নারাজ। তাদের দাবি পারিবারিক কলহের জেরে অঞ্জনার স্বামী সোলাইমান তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অঞ্জনার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।
নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রর এসআই মির্জা মাহামুদুল করিম কে জানান ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। রিপোর্ট হাতে এলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে৷ এই ঘটনায় এলাকায় শোকের পাশাপাশি এক ধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। অঞ্জনা বেগমের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী হার্ট অ্যাটাক, নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা জানতে এখন সবাই ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন এলাকাবাসী৷