শেরপুরে পাটের ভালো ফলন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি

শেরপুর সংবাদদাতা : অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর শেরপুর জেলায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ফলনে খুশি হলেও স্থির পানির জলাশয় সংকটে বাড়তি খরচে সেচের পানিতে পাটের জাগ দিতে হয়েছে। যা বাড়িয়েছে চাষির ব্যয়। এ অবস্থায় লোকসান কাটাতে বাজারে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি তাদের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাটের আবাদ হয়েছে। এ বছর ১ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমি আবাদ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পাটের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯১১ হেক্টরে। এসব জমি থেকে পাটের উৎপাদন হবে ৬ হাজার ২০ টন। পাটচাষিরা বলছেন, বিঘাপ্রতি পাটের গড় ফলন ১০ থেকে ১২ মণ। বিঘাতে পাট চাষে খরচ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং খরচ বাদে মুনাফা থাকে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিটি পাটখড়ির আঁটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যায়। জলাশয় সংকটে পাট জাগ দেওয়ার খরচ বেড়েছে। তবে বাজারে পাটের যে দাম মিলছে তাতে পোষাচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বাঘেরচর গ্রামের পাটচাষি মো. কামারুজ্জামান বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে যেন ব্যবসায়ীরা পাটের দাম কমাতে না পারে সেদিকে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে একদিকে যেমন পাটচাষিদের পাট চাষে আগ্রহ কমবে। অন্যদিকে পাটের ন্যায্য দাম থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। ’ শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ এখানকার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর পাটের দাম তুলনামূলকভাবে ভালো। দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় এবং পরিবেশবান্ধব বলে দেশে পাটের বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশে ও বিদেশে পাটের চাহিদা বাড়ছে। ’