মোহাম্মদ আলী ; জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে লড়ছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম বুলবুল। তার কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের একাংশ এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাদের মতে, বুলবুল এর বিজয় শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র!
গত শনিবার থেকে সোমবার জামালপুর জেলা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি নির্বাচনে জেলার ৭টি উপজেলার কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের একাংশের সাথে কথা বলেছে দৈনিক আজকের জামালপুর।
সেই জরিপে যা উঠে এসেছে তাতে জানা যায়, জামালপুর জেলা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (ব্যালট নং-১), সাবেক সাধারণ সম্পাদক, হযরত শাহ জামাল (রঃ) হাসপাতালের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বুলবুল জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিডিএফ হাসপাতালের চেয়ারম্যান, মোঃ আশরাফুল ইসলাম বুলবুল, একজন দক্ষ সংগঠক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। জামালপুর বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যবসার পথিকৃতদের তিনি একজন। ২ যুগের হাসপাতাল ব্যবসায় তিনি অর্জন করেছেন পার্টনারদের বিশ্বাস, আস্থা ও নির্ভরতা। হাসপাতাল মালিকদের ব্যবসায়ীক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাদের সমস্যা ও সঙ্কটে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। কেউ কখনো বিপদে পড়লে সবার আগে ছুটে গিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন সহজ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।
তার এ কর্মদক্ষতা ও সাহস হাসপাতাল মালিকদের যুগিয়েছেন ব্যবসায়ীক অনুপ্রেরণা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সাথে গড়ে উঠেছে সখ্যতা। স্থানীয় রাজনীতিতে মিলেছে ঈর্ষান্বীয় পরিচিতি।
এক সমযের ব্যক্তি বুলবুল আজ পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানে। এখন বুলবুল মানেই যেন বিশ্বাস, বুলবুল মানেই সফলতা।
বুলবুলের এবারের নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনার ব্যাপারে জামালপুর এপোলো হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা, মোঃ সাজেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক এর ব্যবসাটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা। এব্যবসায় যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা বা ধরে রাখাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সেই সঙ্কটময় মূহুর্তে বা চরম দুঃসময়ে আমরা সবার আগে যাকে পেয়েছি এবং পাই তাকেই আমাদের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী বানানো উচিৎ। সেই দিক বিবেচনায় আশরাফুল ইসলাম বুলবুল এর সমকক্ষ বা বিকল্প আর কেউ নেই। আমাদের প্রয়োজনেই আমরা তাকে ভোট দিব, ইনশাআল্লাহ ।
মেলান্দহ হাজরাবাড়ি জেনারেল হাসপাতালের মালিক রাকিব হোসেন বলেন, আমরা বেসরকারি হাসপাতালের মালিকরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হয়েই ব্যবসায় নেমেছি। কিন্তু, আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য হচ্ছে সেবার মধ্য দিয়ে নিজেদের সফলতা অর্জন করা। আর সে জন্যই প্রয়োজন একটি সংগঠন বা সমিতি। যা ইতোপূর্বে আত্মপ্রকাশ করেছে। এখন দরকার একটি সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব যারা আগামী ৩ বছর আমাদের ব্যবসায়িক সফলতা ও নিরাপত্তা দানে নেতৃত্ব দিবেন। বিগতদিনে একাজে পুরো জেলায় যিনি নেতৃত্ব দেওয়ার সাহস ও শক্তি দেখিয়েছেন আমি তাকেই ভোট দিব।
ইসলামপুর উপজেলার যমুনা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক, আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আমার কাছে দুইজন প্রার্থীই পছন্দের। তবে, যেহেতু একজনকে বেছে নিতে হবে সেই দিক থেকে সাংগঠনিক দক্ষতা ও অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যত নির্ভরতার বিচার করলে বুলবুল এগিয়ে আছেন। জয়ের সম্ভাবনা তারই বেশি।
এব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, মোঃ আশরাফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জয় পরাজয় মানুষের হাতে নয়, আল্লাহর হাতে। আমি তাঁর উপরই ভরষা করে আছি। তবে, আমি বেসরকারি হাসপাতাল ব্যবসায় আসার পর থেকেই সবসময় ব্যবসায়ী ভাইদের সাথে থেকেছি। তাদের বিপদআপদে ছুটে গিয়েছি, পাশে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও থাকব। পার হই বা না হই। জয় পরাজয় আমার কাছে বড় কথা নয়। তবে, নির্বাচনে জয়লাভ করা মানে দায়িত্বের স্বীকৃতি পাওয়া। ব্যবসায়ীদের সেই স্বীকৃতি বা মেন্ডেট পেলে কাজে গতি বাড়ে, জোর গলায় কথা বলা যায়। সেজন্য আমার নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমি মনে করি, যারা আমাকে একাজে যোগ্য মনে করেন তারা আমাকে অবশ্যই ভোট দিবেন।
তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতির ভোটার ভাইদের ভোটে যদি আমি নির্বাচিত হই তাহলে একটি দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করব। যারা মানব সেবার মধ্য দিয়ে নিজেদের ব্যবসাযী সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। এছাড়া বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিকরা যেন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পায় সে ব্যাপারে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরাও যাতে অর্ধেক খরচে চিকিৎসা পায় সেই ব্যবস্থাও করব, ইনশাআল্লাহ !
জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে লড়ছেন বুলবুল
