ইসলামপুর বেনুয়ার চর এমএইচ উচ্চ বিদ্যালয় (৩)অবৈধ কোচিং ও নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রধান শিক্ষক কোটিপতি

মোহাম্মদ আলী : অবৈধ কোচিং ও নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রধান শিক্ষক বনেছেন কোটিপতি। করেছেন বাড়ি গাড়ি জমিজমা। ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি।
গেল রোববার, জেলার ইসলামপুর উপজেলাধীন বেনুয়ার চর এমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, নুরে আলম শাহীনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী এমন অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, বেনুয়ার চর উত্তর পাড়ার মরহুম আঃ জলিলের বড় ছেলে নুরে আলম শাহীন। তার বাবা ছিলেন একজন প্রাইমারি শিক্ষক। ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে শাহীন বড়। ২০০০ সালের দিকে বেনুয়ার চর এমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি হয় শাহীনের। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই শাহীন স্কুলে এলাকার প্রভাব প্রয়োগ করতে থাকে। এরপর সে এক পর্যায়ে সে স্কুলেই কোচিং বাণিজ্য শুরু করে। অতঃপর ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর শুরু হয় নিয়োগ বাণিজ্য। ইতোমধ্যে সে ৪টি পদে নিয়োগ দিয়েছে। পদগুলো হচ্ছে অফিস সহকারী, ল্যাব অপারেটর, আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্মী। এ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে সে প্রার্থীদের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন।
এইসব অবৈধ কোচিং ও নিয়োগ বাণিজ্য করে সে কামিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। যা দিয়ে সে বাড়িতে বিশাল হাফ বিল্ডিং, শেরপুর শহরের চাপাতলায় ৫ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি, সজবড়খিলায় ৫ শতাংশের প্লট, ঝগড়ার চর টু শ্রীবর্দি রোডের পাশে ২৫ শতাংশের প্লট কিনেছেন। এছাড়াও করেছেন ব্যাংক ব্যালেন্স, আবাদি জমি গরু খামার ইত্যাদি।
বেনুয়ার চর এমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র শিক্ষক জানান, নিয়োগের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ স্কুলের ফাণ্ডে জমা অথবা স্কুলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু, প্রধান শিক্ষক শাহীন তার কোনোটাই করেন নাই। তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর স্কুলের কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। তিনি তৎকালীন সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এবং তার বাপ সুরুজ মাষ্টারের সম্পৃক্ততায় পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এব্যাপারে বেনুয়ার চর এমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম শাহীনের মতামত জানতে মঙ্গলবার তার স্কুলে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।