দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি ; জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের বিরামহীন ভাঙ্গনে ভাটি কলকিহারা গ্রামটি বিলীনের পথে। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের আকুল আবেদন এলাকাবাসীর। সোমবার মেরুরচর ইউনিয়নের ভাটি কলকিহারা গ্রামে গিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন করতে গিয়ে দেখা যায়, মাইলের পর মাইল ব্যাপী ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙ্গছে অবিরত। নদের পাড় ঘেষে শতশত একর ফসলি জমি জমা, লুৎফরগঞ্জ বাজার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অসংখ্য বাড়ী ঘর নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। কথা হয়, ভাঙ্গন কবলিত কলকিহারা ও ভাটি কলকিহারা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ, মোঃ আঃ করিম, পারভেজ হাসান, সালিম, জিহাদ আলী, লাল চান মিয়া, নুরু মিয়া, সাইফুল ইসলাম, কালা মিয়া, ওরুপ আলী, মুল্লুক মিয়া, বাচ্চু মিয়া, সুমন মিয়া, রমজান আলী, শাহাজল হক, সবুজ মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, শিপন মিয়া, সুবাদ আলী, রিপন মিয়া, রাসেল মিয়া, জাহিদুল সহ অনেকের সাথে। তারা জানান, ভাঙ্গনরত ব্রহ্মপুত্র নদ টি আমাদের গ্রাম থেকে কয়েক মাইল দূরে ছিল কয়েক বছর আগে। পরে নদ টি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মাইছানির চর গ্রাম, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, কাউনের চর, ঘুঘড়াকান্দি, মাদারচর, মদনের চর সহ কয়েকটি গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে ঐ গ্রাম বাসীরা অন্যত্র গিয়ে বসতি শুরু করেছে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দশকের পর দশক ধরে নদী ভাঙ্গনে বেশুমার ক্ষতি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আজও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ভাটি কলকিহারা গ্রাম সংলগ্ন প্রসিদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুৎফরগঞ্জ বাজার। এখানে শতশত মানুষ দোকান পাট ও ব্যবসা বাণিজ্য করে। বাজারটি নদী ভাঙ্গনের চরম হুমকির মুখে। এ এলাকার শতশত স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অতি কষ্টে জীবন বাজি রেখে আসা যাওয়া করে। অনেকেই লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের ভাঙ্গন কবলিত কয়েকটি গ্রামবাসীর একটি মাত্র চাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন থেকে আমাদের রক্ষা করা হোক। বাঁচানো হোক আমাদের ফসলি জমি-জমা, বাড়ি-ঘর, প্রতিষ্ঠান তথা পুরো জনপদ। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন সহ সরকারের কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
ব্রহ্মপুত্র নদের বিরামহীন ভাঙ্গনে ভাটি কলকিহারা গ্রামটি বিলীনের পথে ভাঙ্গন প্রতিরোধের আকুল আবেদন এলাকাবাসীর
