আসমাউল আসিফ : জামালপুরে ১২ বছর বয়সী স্কুল পড়–য়া এক মেয়ে শিশুকে অপহরণের মামলায় সুজন (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেছে আদালত। গত সোমবার ১০ নভেম্বর দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার চর কোডালতলী এলাকার সিরাজ বাঘার ছেলে ব্যবসায়ী সুজন জামালপুরে বানিজ্য মেলায় ব্যবসা করতে এসে শহরের ফিশারী মোড় এলাকায় পিয়ারুল ইসলামের (৪২) গোডাউন ভাড়া নেন। পরিচয়ের সুবাদে পিয়ারুল ইসলামের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সুজন। কিন্তু পরিবারের লোকজন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে সুজন ও তার সহযোগীরা ওই মেয়ে শিশুকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে। এই ঘটনায় একই বছরের ৪ ডিসেম্বর জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন অপহৃত মেয়ের মা নাছিমা বেগম (৪০)। পরবর্তীতে প্রায় এক মাস পর অপহরণের শিকার ওই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীর অনুপস্থিতে আজ রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রায়ে আসামী সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। জরিমানার অর্থ ভূক্তভোগী শিশুকে প্রদানের আদেশ দেয় আদালত। আসামী পলাতক থাকায় যেদিন গ্রেফতার হবে সেদিন থেকে দ- কার্যকর হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক ও আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোবারক। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামীপক্ষের আইনজীবী বা আসামীর কোন স্বজন উপস্থিত ছিলেন না।
জামালপুরে শিশু অপহরণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
