শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কাটাবন মসজিদের হলরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর এটিএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রফেসর ড. শামসুল আলমের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রফেসর আতাউর রহমান বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান। উক্ত সভায় আলোচনা করেন, ড. মোঃ আবু ইউসুফ, লিয়াকত আলী খান, হুমায়ুন কবির, মোঃ শফিকুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় হেড মাওলানা নিয়োগ, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সহ সরকারের কাছে দাবি জানান। সভায় বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশ। এই দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিকের ধর্ম ইসলাম। অন্যান্য ধর্মের নাগরিকগণও ধর্মপ্রাণ। কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক ও নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি ও ব্যবস্থায় শিক্ষার কোনো স্তরেই “ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা”গুরুত্ব ও আবশ্যিক ভাবে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা নেই। নাগরিকগণ ধর্মশিক্ষা নানা সোর্স থেকে শেখে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ধর্ম ও নৈতিকতায় অজ্ঞ থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে অনৈতিকতা ও অবক্ষয়ের ছয়লাব ঘটায়। এই নৈতিক অবক্ষয় রোধ, ধর্মীয় নৈতিক সমাজ, রাষ্ট্র পরিগঠন ও নৈতিকতায় উজ্জীবিত করতে, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সর্বস্তরে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা আবশ্যিকভাবেই কারিকুলাম ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ ও অফিসারগণ নিম্নলিখিত দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো যথাক্রমে : (১) প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি হতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আরবি বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা। (২) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ ১০০ নম্বরের একটি বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা। (৩) ২০২৫ – ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি উচ্চমাধ্যমিক একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় নৈর্বাচনিক এবং বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পাঠ্যভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৪) স্নাতক পাস কোর্স, স্নাতক অনার্স ও স্নাতকোত্তর স্তরে “ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা”ন্যূনতম ১০০ নম্বরের ১টি বিষয় আবশ্যিকভাবে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। (৫) সকল কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা বিষয়, ডিগ্রি ও মাস্টার্সে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় ও বিভাগ খুলতে হবে এবং সকল সরকারি ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। (৬) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, প্যারা-মেডিকেল, কারিগরিসহ সকল বিশেষায়িত সরকারি ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে ১০০ নম্বরের ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ আবশ্যিক করা। (৭) মধ্যপ্রাচ্যের জব মার্কেট পেতে এবং ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে আরবি ভাষা শিক্ষা গুরুত্বসহ সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা। (
সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে হেড মাওলানা এবং শিক্ষার সকল শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
