রৌমারী সংবাদদাতা : জমি সংক্রান্ত মামলায় ঘায়েল করতে না পেরে হামেদ আলী নামের এক দিনমজুরকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে রৌমারী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এমন ভুমিকায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। এনিয়ে সোমবার দুপরের দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ঝুনকিরচর গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিত পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বোন জমিলা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আমার ভাই মো. হামেদ আলীর সাথে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আরএসডিএ’র নির্বাহী পরিচালক ইমান আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আমাদের পক্ষে কুড়িগ্রাম কোর্টে পৃথক দুটি মামলাও চলমান রয়েছে। এ মামলা করায় আরো ক্ষিপ্ত ওঠেন প্রতিপক্ষ ইমান আলী। এর আগেও এ জমিটি নিয়ে ইমান আলীর পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের লোকজন আহত হয়ে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরে থানায় মামলা দিতে গেলে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মালিক ও এসআই আনারুল সরকার মামলা না নিয়ে মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
অবশেষে ইমান আলীর জামাই ও খেদাইমারী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যায়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব কর্তৃক দায়েরকৃত রাজনৈতিক ও চাঁদাবাজির মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আমার ভাই হামেদ আলীকে গত ১৪ নভেম্বর গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে জেগে তুলেন একদল পুলিশ। আমরা কারণ জানতে চাইলে পরে জানানো হবে বলে জানান। পরেরদিন থানায় গিয়ে জানতে পারলাম আমার ভাইকে রাজনৈতিক ও মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসলে আমার ভাই প্রকৃত একজন কৃষক। তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।
অপর দিকে আমার ভাইকে কোর্টে চালান করার পরেরদিনেই অতর্কিত ভাবে ৩০/৩৫ জনের একটি দল লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের ওই বিরোধপূর্ণ জমিটি জোরপূর্ব দখল করে হালচাষ করে। এসময় আমরা বাধা দিলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমার ভাই হামেদ আলীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই এবং এ নাটকীয় সাজানো মামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টি কামনা করছি।
তবে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জামাই ওই রাজনৈতিক ও চাঁদাবাজি মামলার বাদী আব্দুল ওয়াহাব বলছেন ভিন্ন কথা। আমি হামেদ আলীর নামে কোন এজাহার করিনি। এটা পুলিশের কারসাজি।
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক সাংবাদিকদের বলেন, তাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলেই ফোন কেটে দেন।
রৌমারীতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
