রাজিবপুরের কোদালকাটিতে টিআর-কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি সদস্যদের মানববন্ধন

তারিকুল ইসলাম তারা : কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার ২ নং কোদালকাটি ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ বণ্টনে অনিয়ম, স্বচ্ছতার অভাব ও ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদনের অভিযোগ তুলে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন ইউপি সদস্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গত সোমবার ১৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে ইউপি সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ জনগণ উপস্থিত হয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন
ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ইউপি সদস্য লাল মিয়া ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান মাসুদ ইউপি সদস্য ফজলুল হক ইউপি সদস্য নুরিমা খাতুন ইউপি সদস্য মিনারা খাতুনসহ আরও অনেকে। বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আতাউর রহমান এবং কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও পলাতক আসামি হুমায়ুন কবীর ছক্কুতাদের যোগসাজশে প্রকল্পের বরাদ্দ সুষমভাবে বণ্টন না করে ইউপি সদস্যদের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। বক্তাদের দাবি, বিষয়টি জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (রাজিবপুর) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউপি সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, প্রকল্পের অর্থ বণ্টন, কাজের ধরন নির্ধারণ, বাস্তবায়নকারী নির্বাচন—সবকিছুই হয়েছে গোপনে। এতে সাধারণ জনগণ ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। এ ছাড়া তারা অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করলেও ইউএনও ফজলে এলাহী পলাতক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে তা তার কাছেই দিয়ে দেন। এর ফলে জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা থেকে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত।