Saturday, May 4, 2024
Homeজামালপুরআপেল মাহমুদের জাদুঘর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল

আপেল মাহমুদের জাদুঘর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল

মোহাম্মদ আলী : আপেল মাহমুদের বাপ দাদার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মৃতিবিজড়িত ঘরোয়া জাদুঘর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পেয়েছে ব্যাপক প্রসংশা। গত শুক্রবার, ৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রচার হয় ফেসবুকে। তারপর থেকে ব্যাপক সারা ফেলে বন্ধুদের মাঝে। জামালপুর জেলার পাথালিয়া গ্রামের বড়বাড়ি নিবাসী মরহুম সুজাউদ্দৌলা ওরফে লকেট মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আপেল মাহমুদ ২০১৯ সালে তিনি তার বাড়িতে জাদুঘরটি স্থাপন করেছেন। জানাযায়, আপেল মাহমুদ এর দাদা মেহার মিয়া ছিলেন বৃটিশ আমলে জামালপুরের অভিজাত পরিবারে অধিকারী। বাবা সুজাউদ্দৌলা লকেট মিয়া ছিলেন পাকিস্তান ও পরবর্তী বাংলাদেশের নৌবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়া সমুদ্র গবেষক। তিনি পেশাগত কাজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাপ দাদার বিভিন্ন দেশ থেকে সংগৃহীত জিনিসপত্র ও পোশাক আসাক এবং তাদের ব্যবহৃত নানা দুর্লভ জিনিসপত্র দিয়ে তিনি সাজিয়েছেন তার ঘরোয়া জাদুঘর। আপেলের জাদুঘরে রয়েছে দাদার পুরোনো বাড়ি, ১শত বছর আগে ব্যবহৃত ইংলেণ্ডের রাইসপ্লেট, রান্নার কাজে ব্যবহৃত তামা পিতল ও কাঁসার তৈরি তৈজসপত্র। বাবার ৭০ বছর আগে কেনা বন্ধুক, শিকার করা হরিণের শিং, নৌবাহিনীতে চাকুরিরত অবস্থায় দক্ষতা ও জ্যোষ্ঠতার পদক, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা বাসনপত্র, কুশন কভার, মায়ের শৈশবের খেলনা, বিয়ের শাড়ি, রূপার তৈরি গহনা বাকস ইত্যাদি। গতমাসে আপেল মাহমুদের ঘরোয়া জাদুঘরটি পরিদর্শন করেছেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশাবিদ, জামালপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থপতি,ওয়াদুদ দম্পতি। তারা আপেল মাহমুদ এর এ সংগ্রহের প্রশংসা করেছেন। এব্যাপারে আপেল মাহমুদ বলেন, আমি আসলে আমার সংগ্রহশালা বা জাদুঘরটি সাধারণের প্রদর্শনের জন্য করিনি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে পূর্ববর্তী প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখতে করেছি।

Most Popular

Recent Comments