ঝিনাইগাতীতে যুবলীগ নেতাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে অতর্কিত মারধর

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হাসানুজ্জামান হাসান নামে এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করেছে দুই চাকরিজীবী। গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর মেইন রোডস্থ যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে যুবলীগ নেতা শাহ আলম ও মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী আয়শা সিদ্দিকা রুপালীসহ অন্যান্যরা উদ্ধার করে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলার শিকার আহত হাসানুজ্জামান ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পানবর গ্রামের ওমর আলীর পুত্র ও কাংশা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নেতা উপজেলার হলদিগ্রাম (গারোকোনা) বালু ঘাটের ইজারাদার স্বপন মিয়ার শেয়ার পার্টনার। ওই বালুর ঘাট থেকে আসার পথে ঝিনাইগাতী থানাধীন যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছামাত্র একই উপজেলার বন্ধভাটপাড়া গ্রামের শাহজাহানের পুত্র খোশনুর আবেদ সোহেল ও শামসুদ্দিনের পুত্র আব্দুর রউফ তার গাড়ি গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে প্রাইভেটকারের দরজা খুলে হাসানকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে মারধর করে ও তার ব্যাগে থাকা ১২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধের চেষ্টা করে। এসময় হাসানের ডাক চিৎকারে যুবলীগের অন্যান্য লোকজনসহ ফিরফার করে দেয়। এ বিষয়ে হাসান ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ঝিনাইগাতী থানার ওসি বছির আহাম্মেদ বাদল জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুবলীগ নেতা হাসান প্রথমে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে সোহেল ও আব্দুর রউফ এর সাথে ফোন যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ঘটনা ঘটেছে কোন যাহা অভিযোগে লেখা হয়েছে তা মিথ্যা। তবে যুবলীগের একটি সূত্র জানায়, হাসানের সাথে তাদের ব্যাবসায়িক লেনদেনের কারণে ওইসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।