Thursday, May 2, 2024
Homeজাতীয়উৎসবের সাজে তরুণ-তরুণীদের ভিড় বনানী মণ্ডপে

উৎসবের সাজে তরুণ-তরুণীদের ভিড় বনানী মণ্ডপে

পড়ছে ঢাকে কাঠির বাড়ি। জমকালো আয়োজন, বাহারি সাজে সেজেছে পুরো বনানী মাঠ। জাঁকজমকপূর্ণ পূজা অর্চনার আয়োজন চলছে ভেতরে। আর বাইরে উৎসবের সাজ-পোশাকে তরুণ-তরুণীদের ভিড়। অপশক্তির অসুর বধের প্রতিজ্ঞায় দুর্গোৎসবে দেবীর আরাধনা করছেন বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সড়কে থাকা আলোকসজ্জা, উৎসবের সাজ, পূজা মণ্ডপ, আশপাশসহ সব দিকেই বাহারি রঙ, সব মিলিয়ে বলে দিচ্ছে এসেছে উৎসব।

মণ্ডপে প্রবেশ করার আগে দীর্ঘ রাস্তায় বর্ণিল লাইট স্থাপন করা হয়েছে। পূজা উপলক্ষ্যে প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলও বসানো হয়েছে। প্রতিদিন পূজা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতি আয়োজন রয়েছে এ মণ্ডপে।

dhakapost

রাজধানীতে গুলশান-বনানীর পূজা মণ্ডপ নিয়ে সাধারণ মানুষের বরাবরই আগ্রহ থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আয়োজকরাও মণ্ডপ সাজানো থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি রাখছেন না। এছাড়া পূজায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কন্ট্রোল রুম, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি তল্লাশির মাধ্যম সবাইকে পূজা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আজ (শুক্রবার) বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ শোক হানাহানি মারামারি বাড়বে। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। যার ফলে জগতে মরণ ব্যাধি এবং প্রাণহানির মতো ঘটনা বাড়বে।

dhakapost

এদিকে  পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে এখানে। বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে মণ্ডপ।

জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়। এদিন সকাল থেকে চণ্ডী পাঠে মুখরিত থাকে মণ্ডপ এলাকা।

গুলশান থেকে রাজধানীর বনানীর পূজা মণ্ডপে আসা প্রদীপ সরকার বলেন, আজ সন্ধ্যা থেকে সব সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে মণ্ডপে আসতে শুরু করেছে। সবাই এসেছে উৎসবের সাজে। চারিদিকে আলোকিত, উৎসবের রঙে রাঙানো হয়েছে মণ্ডপ এলাকা।

বনানীর পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পূজা কমিটির সদস্য সত্যজিত রায় বলেন, আমাদের বনানীর পূজা মণ্ডপে প্রতিবারই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। কারণ এটা ভিআইপি এলাকা, বড় বড় মানুষজন এখানে প্রতিবারই আসেন। আজ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মণ্ডপ পরিদর্শনে আসবেন। সন্ধ্যা থেকেই মূলত আমাদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

dhakapost

জানা গেছে, উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮টা ৬ মিনিটে।

সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন মঙ্গলবার দশমী পূজা শুরু সকাল ৬টা ৩০মিনিট। পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। সন্ধ্যায় আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।

Most Popular

Recent Comments