এফবিসিসিআইয়ের সদস্য ইব্রাহীম খাঁনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, দানবীর-সাকিফ শামীম

টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডির মেম্বার ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সদস্য ইব্রাহীম খান। গ্রুপে এমন প্রতিবেদন দেখে মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, দানবীর, বাংলাদেশ সাব-কন্ট্রাক্টিংশিল্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট,ল্যাবএইড গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকিফ শামীম। তিনি তার ম্যানেজার তোফাজ্জলকে দিয়ে (২০এপ্রিল) ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে এবং চিকিৎসাধীন ইব্রাহীম খানের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে নেয় সাকিফ শামীম। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’। মানুষের জীবন বাঁচাতে মানুষই পাশে দাঁড়ায়, সহায়তার হাত বাড়ায়। সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সবাই যদি সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে বেঁচে যেতে পারে এরকম হাজারো ইব্রাহীম খাঁন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকার কোন সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে প্রথমে ভর্তি করান ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে।বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিল ইব্রাহীম খানের পরিবার । তাই বাধ্য পর্রবীতে নিয়ে যাওয়া হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসিইউতে।কিন্তু চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় সমাজের বিত্তবানদের কাছে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তার দুই মেয়ে । অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না এফবিসিসিআইয়ের সদস্য ইব্রাহীম খাঁন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয় দুই মেয়ের আকুতি ।

ইব্রাহীম খাঁনের রক্তে ইনফেকশন হয়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শরীরে । আর এ ইনফেকশনের কারণেই শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইব্রাহীম খানের দেহে বেঁধেছে জটিল রোগের বাসা। তবে তার দুই মেয়ে হার মানতে নারাজ। তারা তার বাবাকে বাঁচাতে চান। তার বাবার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন লক্ষ লাখ টাকা। বাবাকে বাঁচাতে অসহায় মেয়েরা চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। শেষ চেষ্টা হিসেবে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তারা।

ইব্রাহীম খানের দুই মেয়ে আরো জানান ইতি মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ সভাপতি নিজাম আঙ্কেল আমার আব্বার চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। তারপর ও বিভিন্ন ঔষধ, দামি দামি ইনজেকশন কিনার জন্য আরও টাকা প্রয়োজন।