Monday, May 20, 2024
Homeবিনোদনকাঞ্চনদার জীবনের সেই কাঁধটা আমি হয়েছি : শ্রীময়ী

কাঞ্চনদার জীবনের সেই কাঁধটা আমি হয়েছি : শ্রীময়ী

ওপার বাংলার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। যদিও দু’জনের দাবি, তাদের সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্ব। তবে ভক্তরা মনে করেন, এই দুই তারকার মাঝে প্রেম বহুদিনের। যে কারণে অভিনেতার প্রথম সংসার ভেঙেছে। 

বর্তমানে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে তার স্ত্রীর ডিভোর্সের মামলা কোর্টে চলছে। অন্যদিকে এই অভিনেতা শ্রীময়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক জীবন পার করছেন। বাস্তব জীবনে নাকি ভীষণ একা হয়ে পড়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। বিশেষ করে তার মায়ের মৃত্যুর পরে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।

সেসময় অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন শ্রীময়ী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার আর কাঞ্চনদার বন্ধুত্ব অনেক বছর হয়ে গেলো, প্রায় বলতে পারেন ১০-১২ বছর। আমি অনেক কম বয়স থেকেই কাঞ্চনদাকে চিনি। এই বন্ধুত্বের গভীরতা সেই সময় থেকে শুরু যখন কাঞ্চনদার মা মারা যান, সেসময় তিনি বেশ একা হয়ে পড়েছিল। কাঞ্চনদা খুবই ইন্ট্রোভার্ট। উনি কখনোও নিজের বাস্তব জীবনকে সামনে আনেন না। আসলে যে সবার মুখেই হাসি ফুটিয়েছে, সে নিজেও এক ঘরে বসে কেঁদেছে’।

কাঞ্চনকে নতুনভাবে বাঁচার সাহস দেন শ্রীময়ী। কৃষ্ণকলি খ্যাত এই অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি কাঞ্চনদাকে বলেছিলাম, তুমি তো বিভিন্ন জায়গায় পারফর্ম করো। হাজার হাজার মানুষকে হাসাও। তুমি যদি এভাবে ভেঙে পড়ো তাহলে কীভাবে চলবে? তোমার অপেক্ষায় অনেক মানুষ বসে আছে। তোমাকে পুরোনো কাঞ্চন মল্লিক হয়ে উঠতে হবে, তোমাকে বাঁচতে হবে। জীবন তো একটাই’।

শ্রীময়ী আরও বলেন, ‘আসলে কাঞ্চনদা একটি শক্ত কাঁধ পায়নি। যেখানে তিনি নিজের কষ্টগুলোকে তুলে ধরবেন। মানুষের স্বভাবই সব বিষয়ে সমালোচনা করা। তারা হয়তো অনেকেই বলবে, কাজ পাওয়ার জন্য, সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি তার সাথে আছি। অনেক মানুষ আসে যায় কিন্তু কাঞ্চনদার জীবনের সেই কাঁধটা আমি হয়েছি। তার হাতটা ধরেছি’।

বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক নিজেকে এখন অনেকটাই বদলে ফেলেছেন। তিনি সিগারেট, মদ্যপান করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তিনি নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন, জানান অভিনেত্রী শ্রীময়ী। তার কথায়, ‘একটা মানুষের পাশে থেকেছি, ভালো করেছি। এই বন্ধুত্বটা থাকবে’।

আপনারা কী একসঙ্গে থাকছেন কি না, এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর উত্তর- আমরা এক ছাদের নিচে থাকি না। এই সম্পর্ককে বন্ধুত্বের নাম দিতে পারি। সবসময় যেকোনো সম্পর্ককে স্বামী স্ত্রী, ভাই-বোনের নাম দিতে হবে এমনটার মানে নেই। আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্কে বেশ ভালো আছি।

Most Popular

Recent Comments