Sunday, May 19, 2024
Homeআন্তর্জাতিকগাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দুই মাসের শিশুর মৃত্যু

গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দুই মাসের শিশুর মৃত্যু

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দুই মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল শিহাব। কয়েকদিন আগে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দেয়, ইসরায়েলিদের হামলার কারণে গাজায় শিশুরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন হুঁশিয়ারির পরই না খেতে পেয়ে শিশুর মৃত্যুর তথ্য জানা গেলো।

আল শিহাব নামের ফিলিস্তিনি ওই সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, গত শুক্রবার আল শিফা হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।

ওই শিশুটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে তার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

শিশুটিকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নিয়ে যান একজন প্যারমেডিক। তিনি জানিয়েছেন, তীব্র পুষ্টিহীনতা থেকে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

ওই প্যারামেডিক বলেছেন, “আমরা দেখতে পাই এক নারী শিশুকে ধরে রেখেছেন। তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। তার ফ্যাকাশে শিশুটি যেন ওই সময় শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছিল।”

“আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন জানতে পারি  সে তীব্র পুষ্টিহীনতায় ভুগছিল। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে আইসিওতে নিয়ে যায়। শিশুটি গত কয়েকদিন কোনো দুধ পায়নি। কারণ গাজায় এখন শিশুদের কোনো দুধই নেই।”

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুরোধ সত্ত্বেও গাজায় এখনো পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যেই পুষ্টিহীনতায় ভুগে শিশুর মৃত্যুটি সামনে আসল।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলিকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার পরই গাজায় বর্বরতা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ২৩ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

যুদ্ধের শুরুতে গাজায় সব ধরনের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। ডিসেম্বরে তারা ত্রাণের জন্য সীমান্ত খুলে দিলেও; সেখান দিয়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ গাজাতে ঢুকছে না।

সূত্র: আলজাজিরা

Most Popular

Recent Comments