মোহাম্মদ আলী :”চেয়ারম্যান কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করার উদ্যোশে ২০টন ভিজিএফ এর চাল গোপনে রেখে এসেছে গোদামে। অথচ আমার ওয়ার্ডবাসীকে ১টা স্লিপও দেওয়া হয়নি। আমি আন্দোলন করব। আমার লোকজনদের নিয়ে ইউএনও অফিসে যাব। আপনাদের সহযোগিতা চাই “।
মঙ্গলবার, সকালে আজকের জামালপুর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধির কাছে ফোন করে এমন অভিযোগ করেছেন, জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১১নং চরপুটিমারি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খলিলুর রহমান।
তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার, চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, মেম্বারের আগের দিনের অভিযোগ সঠিক ছিল। কিন্তু ,খলিল মেম্বার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে এই খবর চেয়ারম্যান জেনে ওইদিন বিকেলেই গোদামে রেখে আসা চাল নিয়ে এসেছে । এবং রাতারাতি মেম্বারের পাওনার চাইতে বেশি দিয়ে তার সাথে আপোষ করে ফেলেছে।
এদিন বিতরণ কাজে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার মোঃ হুমায়ূন রশিদ বলেন, এবারের ঈদে চরপুটিমারি ইউনিয়নের জন্য ৪৯.০২৩ মেঃটঃ ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে চেয়ারম্যান গতকাল তুলেছে ৩০ মেঃটঃ আজ তুলেছে ১৯.০২৩মেঃটঃ চাল।
এসময় পরিষদের সামনে উপস্থিত খলিল মেম্বারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি পাশ কাটিয়ে চলে যান।
এব্যাপারে চরপুটিমারি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, আগের দিন ইউএনও ও পিআইওকে বলেই ২০ টন চাল গোদামে রেখে এসেছিলাম। পরের দিন আবার নিয়ে এসেছি।
এলাকাবাসী জানান, চরপুটিমারির জন্য বরাদ্দের প্রায় ৫০ মেঃটঃ চালের বেশির ভাগই উঠেছে পাইকার ও কালোবাজারিদের ঘরে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।