আসমাউল আসিফ ; জামালপুরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের পদত্যাগী ইনচার্জকে প্রতিষ্ঠানের সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবীতে পূর্ব ঘোষিত মোমবাতি জ¦ালিয়ে রাত দখল কর্মসুচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জলন করে এই রাত দখল কর্মসুচি শুরু করে।
বিক্ষোভ চলাকালে কলেজের শিক্ষার্থী মিশন ইবেন সিরাজ, জয়নাল আবেদীন সোহান, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষার্থীর বলেন, গত নয় দিন ধরে কলেজের ইনচার্জ রানী রহমান কোন হিসাব না বুঝিয়ে পদত্যাগ করে পলাতক রয়েছেন। এরপর থেকে ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামও কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের হোস্টেলে খাবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আবাসনসহ, পাড়াশোনা ও আনুষঙ্গীক বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে সারাদিন না খেয়ে রাতের বেলাতেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু প্রশাসন ও দায়িত্বশীল কেউ আমাদের দাবী পূরণে কোন আশ^াস দেয় নি বা পাশে এসে দাড়ায়নি। উল্টো অবরুদ্ধ শিক্ষকরা সন্ধ্যার দিকে কৌশলে ভবন থেকে বেরিয়ে যায়। কর্মসুচি চলাকালে ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম, ডান হাত না বাম হাত, হবে না আর অজুহাত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হুশিয়ার-সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
এরআগে সকাল থেকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা কলেজের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবনের ভেতর আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিকেল ৫টার মধ্যে রানী রহমান ও সাইফুল ইসলামকে কলেজে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ রঞ্জনা থিগিদীর নিকট সকল হিসাব ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু তারা কলেজে উপস্থিত না হওয়ায় সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জলন ও রাত দখল কর্মসুচির ঘোষণা দেয় আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা।