জামালপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৭জন গ্রেফতার।

oplus_0

জাকিউল ইসলাম খান টিপু : জামালপুরের সরিষাবাড়িতে চাঞ্চল্যকর চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আসাদুজ্জামান তালুকদার আপেল (৪০) কে সহ সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার ২৩ ফেবুয়ারী দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (পিপিএম)।সরিষাবাড়িতে লোমহর্ষ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি জামালপুর জেলা পুলিশ গুরুত্বের সহিত তদন্ত করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রধান আসামি সহ এজাহারভুক্ত সাত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পুলিশ সুপার বলেন, মামলা দায়েরের পর সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক বিভিন্নস্থানে অভিযান করে মামলার ২নং আসামী মোছা. আনোয়ারা বেগম ও ৪ নং সাজিত ইসলাম তানজিল কে গ্রেপ্তার করে।পরে২০ জানুয়ারি জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গাজিপুর মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে ৭নং আসামী তানজিল ইসলাম তাসিন (২৬), ৮নং মো. তাসলিমুল ইসলাম তমাল (২২) ও ৯নং বিন্দু তালুকদার (২৪) আসামীকে গ্রেফতার করেন।এমাসের ৭ তারিখে ঢাকা জেলার আশুলিয়া জিরানী এলাকা হতে ৫ নং আসামী রোকেয়া ওরফে তুহিনা বেগম (৪২) গ্রেফতার করা হয়। এই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৬ জন আসামী আটক হলেও ১ নং আসামিসহ ৪ জন গা ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে শনিবার মধ্যরাতে জামালপুর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান করে হরিপুর এলাকা হতে মামলার প্রধান আসামী আসাদুজ্জামান আপেল কে গ্রেপ্তার করে। আপেল উপজেলার তারাকান্দি এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। উল্লেখ্য গত ১৭ জানুয়ারি জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আসাদুজ্জামান তালুকদার আপেল কয়েকজন মিলে চাচাতো ভাই আতাউর রহমান বিপুল (৫০) উপর হামলা চালায়। এসময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আতাউর রহমান বিপুলকে এলোপাথালি কুপাতে থাকে এবং ভিকটিম বিপুলের ডানহাত ও ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এক পর্যায়ে ভিকটিম বিপুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম ও তার মা আসমা বেগম আসামিদের থামাতে গেলে আসামীরা তাদেরকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা আহত তিন জনকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাত-পা বিছিন্ন হওয়া বিপুলকে মৃত ঘোষনা করেন এবং বিপুলের স্ত্রী ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন নিহত বিপুলের ভাই আলামিন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ি খানায় ১০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।