থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নগরবাসীকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। একইসঙ্গে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশের এ ইউনিট। নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গীর্জা-হোটেল-ক্লাব-বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, সড়কে টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে নগরের রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ-গান অথবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো যাবে না।
সিএমপি জানায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতে হবে। রোববার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন (সোমবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান করা যাবে না। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত সব বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। এদিন মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিএমপির নির্দেশনা আরও রয়েছে, সব অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা। অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া না দেওয়া। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করা। উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালানো।
এছাড়াও যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ তৎক্ষণাৎ সিএমপির কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানাতে পুলিশের এ ইউনিট থেকে সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হয়।
এমআর/পিএইচ
