নেইমার জুনিয়র মাঠে নেই লম্বা সময় ধরে। মার্চের ইনজুরির পর অনেকটা টানাহেঁচড়া করেই ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে বিদায় বলেছিলেন ব্রাজিলের এই পোস্টারবয়। মাঠের পারফর্ম আর ইনজুরি ছাড়াও বারবার শিরোনাম হয়েছিলেন অনিয়ন্ত্রিত জীবন দিয়ে। সবমিলিয়ে ত্রিশেই ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে ফেলেছিলেন নেইমার। চলে যান সৌদি লিগের ক্লাব আল-হিলালে।
ব্রাজিলের আরেক তারকা ফুটবলার অ্যান্টনি। আয়াক্স থেকে তাকে দলে টানতে কম জলঘোলা করেনি ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নেদারল্যান্ডস থেকে তাকে উড়িয়ে আনতে ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে রেডডেভিলরা। যদিও চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচ মাঠে নেমেও গোল বা অ্যাসিস্ট নেই অ্যান্টনির।
নেইমার আর অ্যান্টনি দুজনেরই এমন বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে তাদের ট্রান্সফার মার্কেটে। গত ৬ মাসে তাদের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। দুই ট্রান্সফার উইন্ডোর মাঝে খেলোয়াড়দের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে অ্যান্টোনির। ৬ মাসেই ২৫ মিলিয়ন ইউরো দাম কমেছে এই উইঙ্গারের। বর্তমান তার ট্রান্সফার ভ্যালু মোটে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো।
নেইমারের অবস্থা অবশ্য কিছুটা ভালো। ট্রান্সফার মার্কেটে ভ্যালু ৪৫ মিলিয়ন। গত ছয় মাসে হারিয়েছেন ১৫ মিলিয়ন ইউরোর ভ্যালু। মোট ২৫ শতাংশ দাম কমেছে তার। ইনজুরির কারণে চলতি মৌসুমেও লম্বা সময় মাঠের বাইরেই থাকবেন এই তারকা। জুনের ট্রান্সফার উইন্ডোতে দাম কমতে পারে আরও অনেকটা।
বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো রিচার্লিসনের অবস্থাও শোচনীয়। ৫০ মিলিয়নে এভারটন ছেড়ে এসেছিলেন টটেনহ্যামে। শেষ ৫ ম্যাচে গোল পেলেও বাকি সময়টা পুরোপুরি ব্যর্থতার মধ্যে ছিলেন রিচার্লিসন। ৬ মাসে এই উইঙ্গারের দাম কমেছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো। ব্রাজিল দলেও অবশ্য খুব ভাল সময় যায়নি তার।
বার্সেলোনায় খেলা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহার দাম কমেছে ১০ মিলিয়ন ইউরো। ১৬.৭ শতাংশ দাম হারিয়ে রাফিনহার বর্তমান মূল্য ৫০ মিলিয়ন।
জেএ