Saturday, May 18, 2024
Homeজাতীয়প্রচলিত ব্যবস্থা মামলাজট নিরসনে ব্যর্থ, বিকল্প হতে পারে মেডিয়েশন

প্রচলিত ব্যবস্থা মামলাজট নিরসনে ব্যর্থ, বিকল্প হতে পারে মেডিয়েশন

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা মামলাজট নিরসন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। সেই বিকল্প হতে পারে একমাত্র মেডিয়েশন বা মধ্যস্থতা।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিচারক-আইনজীবীদের মেডিয়েশন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাবারদেশ ইন্টান্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেন, কোনো নতুন মামলা গ্রহণ না করে বর্তমানে বিচার বিভাগে যে মামলার পাহাড় জমে আছে সেগুলো নিষ্পত্তি করতেই ২৫/৩০ বছর লেগে যাবে। প্রচলিত বিচার মামলাজট নিরসন ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার আরবিট্রেশনেও বিরোধ বা মামলা নিষ্পতি করতে ২/৩ বছর লেগে যায়। আরবিট্রেশনে খরচ বেশি। একমাত্র মেডিয়েশনের মাধ্যমে কম সময়ে, কম খরচে বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়। তাই বিচার ব্যবস্থায় মেডিয়েশনের ব্যাপক প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।

বিচার ব্যবস্থাকে নতুন রিফর্ম করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব বিট্রিশ আইনে এখনও বিচার চলছে এটা ভাবতে অবাক লাগে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো দ্রুত মেডিয়েশন আইন করুন। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে মেডিয়েশনের জন্য আলাদা আইন করা হয়েছে। মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগ করে পৃথিবীর অনেক দেশ মামলাজট নিরসন করতে সক্ষম হয়েছে।

ক্যান্টনমেন্টের সঙ্গে তুলনা করে আদালতের ক্ষতি করছেন শাহদীন মালিক
রায় বাতিল, হাইকোর্টে জিতলেন ড. ইউনূস
বিচারপতি আশরাফুল কামাল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কয়েকটি সার্কুলারের মাধ্যমে মেডিয়েশন প্রয়োগ করার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। বিচারক-আইনজীবী মিলে এই মেডিয়েশন পদ্ধতিকে এগিয়ে নিতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিমসের চেয়ারম্যান এস এন গোস্বামী। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম, কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. আবু হান্নান, কক্সবাজারের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিশাত সুলতানা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তারেক।

অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভারতের গুজরাট ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অপূর্বা প্যাটেল, বিমসের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক ইসরা হোসনাইন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর অ্যাডভোকেট নওশাদ ইফতেখার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ল’টাইমসের পক্ষ থেকে কক্সবাজার আইনজীবী সমিতিকে দুই সেট আইনের বই উপহার দেওয়া হয়।

Most Popular

Recent Comments