মোহাম্মদ আলী :রাশেদুজ্জামান মিজু। যার রাজস্ব খাতে কোনো নিয়োগ নেই। নেই উন্নয়ন খাতে। কোনো প্রকল্পেও নেই। তারপরও বকশিগঞ্জ ইউএনও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও গোপনীয় নথিপত্রগুলো তার হাতে। আছে নারী কেলেঙ্কারি ও অবৈধ সুযোগ সুবিধা লেনদেনের অভিযোগও। উপজেলাবাসীর প্রশ্ন কে এই মিজু?
অতিসম্প্রতি, উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বহিরাগত মিজুর অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ে অভিযোগ উঠেছে উপজেলাবাসীর মাঝে।
জানা যায়, বকশিগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর নিবাসী মোঃ রাশেদুজ্জামান মিজু, ২০১৪ সালে আইসিটি বিভাগের অধীনে আড়াই বছরের চুক্তিতে উপজেলা টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেন বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু, তিনি রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। বরং যত সময় গেছে তার অবস্থান আরও মজবুত হয়েছে। বেড়েছে কর্মপরিধি। বর্তমানে সরকারি ঘরবাড়ি বিতরণের তালিকা, হাট বাজারের ইজারা, অর্থ আদায় ও নির্বাচনের মতো গোপনীয় অতিগুরুত্ব নথিপত্রও থাকে তার হাতে। এছাড়া রয়েছে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সুযোগ সুবিধা লেনদেন ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ।
এদসত্বেও নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে রাশেদুজ্জামান মিজু বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় আর আমার চাকুরি করার বয়স না থাকায় আমি আজও এই অফিসেই রয়ে গেছি।
এব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অহনা জান্নাত এর মতামত জানার চেষ্টা করলে তিনি দাপ্তরিক কাজে কর্মস্থলের বাইরে থাকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, মিজু বর্তমানে ইউএনও অফিসের কেউ নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। সেসব কারণে পূর্বের ইউএনও তাকে বের করে দিয়েছিলেন। আমিই অনুরোধ করে তাকে রেখে দিয়েছিলাম। সে আবার অপকর্ম শুরু করেছে। এবার আমি নিজেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।