পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধায় ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী। ওই সময় মর্টারশেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। পুলিশের ধারণা— মর্টারশেলটি ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে কোনো পাথরের গাড়িতে করে দেশে আসতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল মর্টারশেলটি ধ্বংস করে। এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করার খবরে ওই এলাকায় শত শত মানুষ জড়ো হয় বোম্ব ধ্বংস দেখতে। তবে দর্শনার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে মেসার্স রুপা ট্রেডার্স নামে এক ভাঙারির দোকানে আনিছুর নামে এক ফেরিওয়ালা ভাঙারি সংগ্রহ করে তা ওই দোকানে বিক্রি করে। রাতে কিছু লোহা কিনতে এসে এক ব্যক্তির বস্তুটিকে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে মর্টারশেল নিশ্চিত হলে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে পুলিশ মর্টারশেলটি দোকানের ভেতরে একটি গর্ত করে বালুর বস্তা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে এবং সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানায়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, বাংলাবান্ধার সিপাইপাড়ার একটি ভাঙারির দোকান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয়। এটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ছিল। সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানোর কয়েকদিন পর এটি ধ্বংস করা হলো। আমাদের ধারণা এটি ভারত, ভুটান কিংবা নেপাল থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় পরিত্যক্ত একটি মর্টারশেল ধ্বংস করে সেনাবাহিনীর রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের বোম্ব ডিসপোজাল টিম। সেসময় কমান্ডার ক্যাপ্টেন আছিব জানিয়েছিলেন, মর্টারশেলটিতে মরিচা পড়া ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার।