Monday, May 20, 2024
Homeজামালপুরমুজিব কিল্লা সুযোগে দিবে শিক্ষা দুর্যোগে আশ্রয়

মুজিব কিল্লা সুযোগে দিবে শিক্ষা দুর্যোগে আশ্রয়

মোহাম্মদ আলী : বর্তমান সরকারের জনহিতৈষী কর্মকাণ্ড সমূহের আরেকটি পদক্ষেপ মুজিব কিল্ল। এটি সুযোগে ব্যবহৃত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও নানা কল্যাণমুখি কাজে এবং দুর্যোগ সময় ব্যবহৃত হবে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে। একটি মুজিব কিল্লায় আশ্রয় নিতে পারবে ৫/৭শ জন মানুষ ও তাদের গৃহপালিত পশু প্রাণী ।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরে দুর্যোগ ত্রাণ ও পূণর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ণে জামালপুর জেলার ৪টি উপজেলার প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকা যথা জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর ও বকশিগঞ্জে মুজিব কিল্লা নির্মাণ হচ্ছে। এর মধ্যে ইসলামপুর উপজেলা উল্লেখযোগ্য। জামালপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকা এ উপজেলা। প্রতিবছর এ উপজেলার হাজার হাজার পরিবার বন্যা, নদীভাঙ্গন ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের শিকার হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে এ উপজেলার ২টি ইউনিয়ন যথাক্রমে কুলকান্দি ও চিনাডুলীতে ২টি সি টাইপের মুজিব কিল্লা নির্মাণ হচ্ছে। প্রতিটি মুজিব কিল্লার নির্মাণ ব্যয় ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪৫ হাজার ১৮০ টাকা। উল্লেখ্য যে, ইসলামপুরে নির্মাণাধীন ২টি মুজিব কিল্লার একটি কুলকান্দি হেদায়েতিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা মুজিব কিল্লা। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এর নির্মাণ কাজ। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
কুলকান্দি ইউনিয়নবাসী জানান, তাদের ইউনিয়ন একটি প্রাকৃতিক দুর্যাগ প্রবণ ইউনিয়ন। প্রতিবছর তারা বন্যা ও নদীভাঙ্গনের শিকার হন। তখন দুর্যোগ কবলিত মানুষজন ও তাদের গৃহপালিত পশু প্রাণীগুলো ভাসমান জীবন যাপন করে। মাথার উপর একটু আশ্রয় না থাকায় তারা রাস্তায় ও বাঁধের উপর বসবাস করে।এমতাবস্থায় মুজিব কিল্লা নির্মিত হলে এই ইউনিয়নের প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত মানুষগুলো একটি নিরাপদ আশ্রয় পাবে।
কাজের মান ও গতির ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএনবি-এমপিএস এর প্রতিনিধি আবদুল বাতেন প্রামাণিক বলেন, ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন মুজিবকিল্লার দায়িত্ব প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একাধিক বার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা কাজের গতি ও মান দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একাজ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মেহেদী হাসান টিটু বলেন, কাজের মান ও গতি আমরা কার্যাদেশ অনুযায়ী আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, ইসলামপুর উপজেলায় যে ২টি মুজিব কিল্লা হচ্ছে তা সি ক্যাটাগরির। এসব ক্যাটাগরির মুজিব কিল্লায় দূর্যোগ সময়ে ৬/৭শ জন মানুষ ও তাদের গরু ছাগল আশ্রয় নিতে পারবে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের দুর্যোগ ত্রাণ ও পূণর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে মুজিব কিল্লা একটি বৃহৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে স্বর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতিবন্ধীরাও যাতে এটি অনায়েশে ব্যবহার করতে পারেন মুজিব কিল্লার নকশাটি সেভাবেই করা হয়েছে। এর নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রকল্প এলাকার একটি বড় অংশের জনগোষ্ঠি এর সুফল ভোগ করবেন।

Most Popular

Recent Comments