রৌমারী সংবাদদাতা : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। এতে তলিয়ে গেছে পাকা ধান, শাক সবজি, তিল, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। হতাশায় কৃষক ও নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষ।
গতকাল ২০ মে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বড়াইবাড়ী, ইজলামারী,চুলিয়ারচর, ধনারচর, কাশিয়াবাড়ী, চরবোয়ালমারী, গয়টা পাড়া, খাটিয়ামারি, ভূন্দরচর ও ছড়ারতলিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টি পাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পাকা ধান, কাঁচা মরিচ, তিল শাক সবজি তলিয়ে গেছে। শ্রমিকের দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়ে বুক পানিতে নেমে পাকা ধান কাটছে তারা।
ইজলামারী গ্রামের জাবেদ, সুরমান, আব্দুল কাদের কাশিয়াবাড়ী গ্রামের জলিল, নওশাদ বড়াইবাড়ী গ্রামের সামছুল, কুদ্দুস, জহুরুল ইসলাম বলেন, এতো কষ্টে ও অধিক খরচে ইরি বোরো চাষ করে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি পাতে পাকা ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটতে শ্রমিকের ডাবল দাম বেশি দিয়ে আধা পাকা ধান কাটতে হচ্ছে। একদিকে শ্রমিকের অতিরিক্ত দামে ধান কাটতে হচ্ছে, অন্য দিকে এমন ধান কাটলে ফলন কম হবে। তারা আরও বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে শাক সবজি, মরিচ ও তিল নষ্ট হয়েছে।
অপরদিকে ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে ব্রম্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। প্লাবিত হয়েছে চরান্চল। তলিয়ে গেছে কাউন,তিল, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল। বর্ষার শুরুতেই ব্রম্মপুত্র নদের পানিতে প্রবল স্রোতের কারনে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। ব্রম্মপুত্র নদে আগাম ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্হা না নিলে বিলিন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি জমিজমা। জলে ভেস্তে যাবে অসহায় দরিদ্র পরিবারের সম্পদ, গাছ পালা।
গত ২০ মে মঙ্গলবার সোনাপুর, ঘুঘুমারি, খেদাইমারী, পালেরচর, ফলুয়ারচর, ধনারচর সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রম্মপুত্র নদের পানি বেড়ে খর স্রোতে নদী ভাঙ্গনের চিত্র। তীরবর্তী মানুষের আহাজারি। এতে হতাশায় কৃষক ও ব্রম্মপুত্র নদের পারের মানুষের। এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে পাওয়া যায় নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে নিন্মান্চল প্লাবিত হয়ে অনেক পাকা ধান তলিয়ে গেছে এবং শাক সবজিও নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি কমপক্ষে ধান গুলি কেটে উপরে নিতে।
রৌমারীতে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, নদী ভাঙ্গন, হতাশায় কৃষক ও ভাঙ্গন এলাকার মানুষ
