সর্বজনীন কল্যাণে শান্তির আহ্বান বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির

বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার রবিবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের বিলুপ্তি, জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা ইত্যাদি পরিবর্তনের ধারা। সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ড. ইউনূসকে প্রধান করে একটি উপদেষ্টামন্ডলী নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে। পরিবর্তনের সূচনা থেকে রাষ্ট্রপ্রতি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে তা কতকাল রাখা হবে সে বিষয়ে কোন কথাই এই সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়নি। তবে জনগণের দিক থেকে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে দ্রুত গণতান্ত্রিক  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ গঠনের দাবি আছে। রাজনৈতিক দলগুলো দুর্বল হয়েছে। আর এনজিও, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন প্রবল হয়েছে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চীন,  রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলছে। পররাষ্ট্রনীতির এই ধারাকে রক্ষা করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতির কার্যক্রম চালাতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে এর জন্য বাংলাদেশে চীন, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন করা উচিত নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের পর থেকে যুদ্ধবাজ গণ-বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য সুপরিচিত। আমরা চাই, গোটা  পৃথিবীতে যুদ্ধের সম্ভাবনা তিরহিত করতে। সার্বিক উন্নতির জন্য প্রত্যেক জাতিকে যুদ্ধবিগ্রহ পরিহার করে বিবেক ও যুক্তি  অবলম্বন করে প্রগতির লক্ষ্যে এগিয়ে চলা। আমরা চাই, ড. ইউনুসকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে, তা যুদ্ধের পথ পরিহার করে শান্তির পথে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের এবং পৃথিবীর সব জাতির উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। যে সরকার গঠিত হয়েছে তার কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগণ এটাই আশা করে। আমরা আশা করি, সর্বজনীন কল্যাণে বাংলাদেশকে জনগণের রাষ্ট্ররূপে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবেন। আমরা যুদ্ধের অবসান চাই এবং সর্বজনীন কল্যাণে দ্রুত শান্তির ব্যবস্থা করা হোক।