খাদেমুল ইসলাম : এক সন্তানের এক জননীর ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া লাগিয়ে দিয়ে স্থানীয় নানা মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ^াস। বিচ্ছেদ হয়ে গিয়ে পুনরায় সংসার গড়ে একটি দম্পতি সুখে শান্তিতে সংসার করে যাচ্ছে এখন। এ ঘটনা ঘটেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ^াস ও সহকারি দারোগা ইয়াছমিন আক্তার এ সাংবাদিককে জানান, সুনামগঞ্জ জেলার তাহের পুর উপজেলার মানি গাঁও গ্রামের মোঃ জাহিদ মিয়ার কন্যা লিপা আক্তারের (১৯) ২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের উত্তর গোয়াল কান্দা গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়ার সাথে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে এবং বিধি মোতাবেক এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে সুন্দর পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তাদের সে বিয়ে নামকা ওয়াস্তে দেনমোহরে সম্পন্ন হয়েছিল। বিয়ের অল্প দিন পরই যৌতুক সহ নানা কারণে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জেরে গত ২৫ নভেম্বর ২০২৩ স্বামী তার সন্তানকে রেখে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তালাক প্রাপ্ত লিপা আক্তার গ্রাম্য মহত মাতব্বর ও জন প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কাজ না হওয়ায় চলে আসেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায়। করেন লিখিত অভিযোগ। ওসির নির্দেশে তদন্তে যান এ,এস,আই ইয়াছমিন আক্তার। সব জেনে শুনে অবহিত করা হয় ওসিকে। এর পর ওসি বিপ্লব কুমার বিশ^াস উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে এসে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ফের সংসার পাতানোর রাজি করিয়ে জন প্রতিনিধি ও গণ্যমান্যদের সাথে নিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে ২ লাখ টাকার দেন মোহর ধার্য করে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে পড়ানো হয়। থানায় মিষ্টি মুখ করে হাস্যজ্জ¦ল অবস্থায় স্বামী স্ত্রী সন্তান সহ ফিরে যায় নিজ নীড়ে। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ^াস ও নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ডেস্কের ইনচার্জ এ,এস,আই ইয়াছমিন আক্তারের বিশেষ উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি সংসার পুনরায় শুরু করে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় নানা মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।