জাপানের উত্তাল সমুদ্রে ডুবে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাসায়নিক পণ্যবাহী ট্যাংকার জাহাজ কিয়োইয়ং সান। এই দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ আছেন আরও দুইজন।
বুধবার (২০ মার্চ) জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরের মাতসুরে দ্বীপের কাছে ১১জন ক্রুসহ ট্যাংকারটি উল্টে যায়।
জাপানের কোস্টগার্ড প্রাথমিক অবস্থায় জানিয়েছিল তারা ১১জন ক্রুর মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করেছে। যারমধ্যে ছিল দুইজন দক্ষিণ কোরিয়ান, আটজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন চীনের নাগরিক। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড জানায় একজন ইন্দোনেশিয়ানকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন তারা। উদ্ধারকৃত অপরজন জীবিত নাকি মৃত সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
এখনো নিখোঁজ থাকা বাকি দুই ক্রুকে খুঁজে পেতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
জাপানি বার্তাসংস্থা এনএইচকে জানিয়েছে, জাহাজটি জাপানের হিমেজি বন্দর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উলসানে আসছিল।
কিভাবে জাহাজটি ডুবে গেলো সেটির কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে জাহাজটির ক্রুরা কোস্টগার্ডকে জানাতে সমর্থ হয় যে, সমুদ্র উত্তাল থাকায় কারণে তারা বিপদে পড়েছে এবং মাতসুরে দ্বীপের কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় জাহাজটি ৯৮০ টন এক্রাইলিক অ্যাসিড বহন করছিল। ডুবে গেলেও এতে কোনো ফাটল দেখা দেয়নি। তবে ফাটল দেখা দিলে কি ধরনের পরিবেশগত ক্ষতি হতে পারে সেটি নিরূপণের চেষ্টা চলছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, যখন তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে গিয়েছিল। এনএইচকের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজটির উপরের অংশ পুরোপুরি পানির নিচে চলে গেছে। আর নিচের অংশটি উপরে ওঠে গেছে।
জাহাজবিষয়ক সংস্থা ভেসেলফাইন্ডারের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার এ ট্যাংকারটি ১৯৯৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এটি ২২৬ ফুট লম্বা।
সূত্র: আলজাজিরা