রৌমারীতে ডিগ্রী ২য় বর্ষের ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

রৌমারী সংবাদদাতা : সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রৌমারী উপজেলায় ডিগ্রী ২য় বর্ষের ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
তাদের অভিযোগ, বোর্ড ফি ৮০০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা, কলেজের বেতন ৩৬০ টাকা, সেশন ফি ৩৪০ টাকা, কলেজ উন্নয়ন ফি ২০০ টাকা, অন্যান্য ফি ২০০ টাকা, অনলাইন ফি ২০০ টাকাসহ ২ হাজার ৫৫০ টাকা ও ইন-কোর্স ফি ৭০০ টাকাসহ ৩ হাজার ২৫০ টাকা ধরা হয়েছে। কলেজের সাথে সংশ্লিষ্টরা ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নিতেই রৌমারী সরকারি কলেজ (ভারঃ) অধ্যক্ষ সামছুল আলম কৌশলে এ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বছর এ কলেজ থেকে নিয়মিত ২৮৮ জন ও অনিয়মিত ২৫০ প্রায় জন শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপ করবে। অভিযোগে জানা যায়, সরকারি নীতিমালায় ফরম ফিলাপের টাকা আদায়ের সময় অতিরিক্ত অন্য কোন ফি আদায় করা যাবে না। সরকারি এমন নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করেই রৌমারী সরকারি কলেজে ২০২২ সালের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। উপজেলা অন্যান্য ডিগ্রী কলেজ গুলোতেও একই কায়দায় অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, এ বছর ডিগ্রী ২য় বর্ষের ফরম পুরণে ৭টি বিষয়ে বোর্ড নির্ধারিত ফি হচ্ছে ৮০০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোর্ড নির্ধারিত ফির দ্বিগুন নেওয়ার এমন অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এক শিক্ষার্থী কান্নার চোখে জানান, তার বাবা শ্রমীকের কাজ করেন। ঋণ করে ফরম ফিলাপ ২ হাজার ৫৫০ টাকা ও ইন-কোর্স ফি ৭০০ টাকাসহ মোট ৩ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপ করেছি। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ২ হাজার ৫৫০ টাকার রশিদ দিয়েছে। কি কি বিষয়ের উপর টাকা ধরা হয়েছে তা রশিদে উল্লেখ নাই। এ বিষয়ে স্যারকে জিজ্ঞাস করলে বলেন, কলেজের বেতনসহ নেয়া হয়েছে। এতো কথা বলার সময় নেই।ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে রৌমারী সরকারি কলেজের (ভারঃ) অধ্যক্ষ সামছুল আলম বলেন, কলেজের কমিটির সিদ্ধান্তে বোর্ড ফি ৮০০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা, কলেজের বেতন ৩৬০ টাকা, সেশন ফি ৩৪০ টাকা, কলেজ উন্নয়ন ফি ২০০ টাকা, অন্যান্য ফি ২০০ টাকা, অনলাইন ফি ২০০ টাকাসহ ২ হাজার ৫৫০ টাকা ও ইন-কোর্স ফি ৭০০ টাকাসহ ৩ হাজার ২৫০ টাকা ধরা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কলেজের বিভিন্ন খরচের অজু হাত দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে যান।
এবিষয়ে সরকারি কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।