নকলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গণধুলাই

নকলা সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ২নং নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা বাজারে কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিতরণ করতে গিয়ে ২নং নকলা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউল ইসলাম রবি, ৩০শে মার্চ রোববার দুপুরে এলাকার গণমানুষের পিটুনি খেয়ে আটক থাকা অবস্থায় নকলা থানার এসআই জাহিদের নেতৃত্বে পুলিশ থানায় হেফাজতে নিয়ে এসেছে বলে জানায় ওসি আব্দুল কাদির মিয়া। নেতা রবিউল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বিপ্লব যোগ সাজসে এই কাজটি করছে বলে জানায় আল নাসার ফাউন্ডেশনের নকলা উপজেলা প্রতিনিধি আনার হোসেন। স্থায়ীন সূত্রে জানাগেছে যে, তারা এই এলাকার ৪ হাজার পরিবারকে বন্দি করেছে ন্যায্য মূল্যে ভোজ্য পণ্য প্রদানের সুবিধা দেখিয়ে। আগের দিন সন্ধার সময় গ্রহকদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয় প্রতি প্যাকেজের মূল্য ৬শত টাকা। কার্ড প্রদানের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ টাকা কার্ড খরচ, ৩০ টাকা ছবি ও নেট খরচ এই নিয়ে মোট ৫০ টাকা প্রত্যেক সদস্যদের কাছ হতে নিয়েছে। গ্রাহকরা প্যাকেজ বাবদ দেখেন পাম তৈল ১ লিটার ১৫০ টাকা, বুট ১ কেজি ৮০ টাকা, মশুরের ডাল ১ কেজি ১শত টাকা, হুইল পাওডার হাফ কেজি ৭৫ টাকা, রাসনা ১ বক্স ৮০ টাকা, হিসাব করে দেখা গেছে সর্বমোট প্যাকেজ বাবদ পণ্যমূল্য ৪৬৫ টাকা। কিন্তু প্যাকেজ মূল্য ৬শত টাকা প্রকাশ করায় উপস্থিতি জনতা মাথাপিছু প্রায় ২ শতাধিক টাকা খতিয়ে নেওয়ার প্রকোপে ক্ষুদ্ধ হয়ে ফেটে পরে। সভাপতি রবিকে গণধোলাই করে উপস্থিত জনতা। এই ব্যপারে আল নাসার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে ন্যায্য মূল্যে এই সকল পণ্য গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। অধিক মূল্যে বিক্রি করে অর্থ লাভের আশায় নয়। উল্লেখিত রোগীরা আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবা নিতে আসবে আমরা তাদের সেবা দিব। নেতা রবিউল ইসলাম ফাউন্ডেশনের দেয়া গ্রাহক কার্ডের নিচে নিজের সই-স্বাক্ষর ও সীলের বিষয়ে মুখ না খুললেও পণ্য প্রদান বিষয়ে উদ্ভোধন করার জন্য সভাপতি হিসাবে সেখানে গিয়ে ছিলেন বলে জানান।