জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান, পুণ্যার্থীদের ঢল

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অষ্টমীর স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার পুণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়। স্নান উপলক্ষে জামালপুর শহর ঘেঁষা ব্রহ্মপুত্র নদে প্রতি বৎসর স্থানীয় প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজন করে সাথে স্নান উৎসব কমিটি। ৪টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী স্নান উৎসবে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থীরা যোগদিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট হিন্দু ব্রাহ্মণ সুত্রে জানাযায় পরশুরাম মুনি রাগের বসবতি হয়ে কোঠার দিয়ে পিতা-মাতাকে হত্যার পর তার হাতে কোঠারসহ হাতল লেগে যায়। পরে তিনি দীর্ঘদিন তপস্যার পর নারানগঞ্জ জেলার সোনারগাও লাঙ্গলবন্দের এসে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করে পরশুরাম মুনি পাপমোচন হয়েছিলেন। শাস্ত্রোক্ত পরশুরাম মুনির পাপমুক্তির কথা স্মরণ করেই বহু বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়েরর পুণ্যার্থীরা চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জগতের সকল পবিত্র স্থানের পুণ্য ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়ে অষ্টমী-পুণ্যস্নান করে আসছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়।
প্রায় ৪শ’ বছর ধরে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতি বছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদে এস পুণ্যস্নান সম্পন্ন করে থাকেন। এ উপলক্ষে জামালপুর শহরে মেলার আয়োজন করে থাকেন। স্নান শেষে সকলেই মেলা থেকে মুয়া, মুরি, জুড়ি, বাতাসা, জিলাপী, তুরমুজ, শিশুদের বিভিন্ন খেলনা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে নির্বিঘেœ সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।