জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই আদেশ নিয়ম বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্যরা। গত শুক্রবার ৯ আগষ্ট রাতে উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করেন রেজিষ্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন।
আদেশের নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর প্রেক্ষিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গের সাথে জরুরি আলোচনার ভিত্তিতে এই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরণের রাজনৈতিক সংগঠন, ছায়া সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকালে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ ও উপাচার্য, রেজিষ্ট্রার, প্রক্টরসহ বেশকিছু কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে সাত দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জানা গেছে, রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত নন সিন্ডিকেট সদস্যরা। তড়িঘড়ি করে একজন কর্মচারীকে দিয়ে এ আদেশ লেখান রেজিষ্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন। এ বিষয়ে ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মাননান জানান, গতকাল কোন সিন্ডিকেট সভা হয়নি। বিশ^বিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হলে অবশ্যই সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন নিতে হবে। এটি নিয়ম বহির্ভূত হয়েছে, এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায় না। এটি যারা করেছেন তারা হয়ত মনে করেন তাদের সক্ষমতা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, আমি সিন্ডিকেট সভার কোন চিঠি পায়নি বা এ ধরনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটেছে।
বিশ^বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিশ^বিদ্যালয়ের এই ধরনের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক হয়। তবে কিছু সিদ্ধান্ত আছে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) হয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে করতে হয়। তবে জরুরী কোন সিন্ডিকেট বৈঠক হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খান ও রেজিস্টার সৈয়দ ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ৬ই আগস্ট মঙ্গলবার থেকে বিশ^বিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে আন্ত:বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খান, ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান, রেজিষ্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেনসহ প্রশাসনের বেশিরভাগ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্যাম্পাসে এখনো অনুপস্থিত।