অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েনের সভাপতি ও ভাইরাল আমিুনুল ইসলাম বুলু। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন গ্রাহকদের ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমিয়ে এনে গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়ে বুুলু বলেন, গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে অর্থবিলের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে আরও ৫ শতাংশ কর আরোপ করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করহার ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভয়েস ও ডেটা সেবায় ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং সিম সংযোগের ওপর বাড়তি ১০০ টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ করা হয়েছে।এসবের মাধ্যমে নতুন করে গ্রাহকদের ওপর আরও করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।এর ফলে ১০০ টাকার মুঠোফোন সেবা ব্যবহারে গ্রাহকদের সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
যেখানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, সেখানে উল্টো শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।বিগত সিদ্ধান্ত স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার বিরোধী।
মুঠোফোন সেবা ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বৃদ্ধি করায় সাধারণ গ্রাহকের ওপর চাপ আর ও বাড়ছে বলে জানিয়েছে বুলু।তিনি আারো বলেন, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও গ্রাহকের চাপের কথা বিবেচনা করে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মুঠোফোন বা মোবাইল ফোন এখন আমাদের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও কথা না বলে থাকার বিষয়টি কল্পনাতীত। যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে ব্যক্তিগত পর্যায় সবখানেই মুঠোফোনের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু বিগত সরকারের সময়ে কোন কারণ ছাড়াই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো পাল্লা দিয়ে ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের দাম বৃদ্ধিসহ জিবি মিনিটের মেয়াদের কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে জনসাধারণ যেমন চিন্তিত, মুঠোফোন সেবা ব্যবহারের ব্যয় বৃদ্ধিতেও তারা একই ভাবে চিন্তিত।