সমস্যার আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ রেল ষ্টেশন যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি : নানাবিধ সমস্যার আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলষ্টেশন। পুরনো রেল ষ্টেশন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দীর্ঘদিনেও তা পুর্ননিমাণ হয়নি। ষ্টেশনে নেই কোনো বিশ্রামাগার, নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার, মালামাল সংরক্ষনাগার নেই, নেই কোনো গোডাউন। গুরুত্বপূর্ণ পদ ষ্টেশন মাস্টারের পদ শূন্য বহু দিন ধরে। বর্তমানে মোঃ আব্দুল বাতেন নামে একজন আছেন ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন মাস্টার হিসেবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে হেড টিএক্সআর। এপদ শূন্য আছে ৬/৭ বছর ধরে। যাত্রী বা মালবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে টিএক্সসারগণ ইঞ্জিন এবং বগির ফিটনেস পরীক্ষা করেন নিয়মিত। এসব পদ শূন্য থাকায় এ কাজে দারুন ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেল ষ্টেশনের টিএক্সআর মোঃ সাইদুর রহমান নয়াদিগন্তকে জানান, হেড টিএক্সআর পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে করে এ বিভাগের কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ক্যারেজ বিভাগে আমি টিএক্সআর হিসেবে কাজ করা ছাড়াও হেড টিএক্সআর, স্টোর মুন্সি, অফিস সহকারী সহ অনেকগুলো পদে একাই দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছি। ঈদ পার্বন বিয়ে সাদী, কেউ মারা গেলে বা অসুখ বিসুখ হলেও ষ্টেশন ত্যাগ করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। ফিটার গ্রেড-১ পদ শূন্য, ফিটার গ্রেড-২ পদ শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। এসএস ফিটার পদ শূন্য ১, হুইল টেকার ২ জনের একজনও নেই। ষ্টেশন প্লার্টফর্মে ৩/৪টি নলকূপ স্থাপন করা হলেও সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা নেই। বছর জুড়ে অকোজো থাকে নলকূপ গুলো। ষ্টেশনের যাত্রীরা পাশের হোটেল বা বাসা বাড়ীতে গিয়ে পানি ব্যবহার করে। ষ্টেশন সংলগ্ন হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও দোকানী মর্জিনা বেগম এ সাংবাদিককে জানান, ষ্টেশনে কয়েকটি নামকাওয়াস্তে নলকূপ রয়েছে। সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা নেই। বছর ব্যাপী অকোজো থাকে নলকূপ গুলো। ষ্টেশনে আসা যাওয়া ইঞ্জিন ও বগিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ওভার হাইড্রেন লাইন অকোজো হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে পানি ভরতে হয়। এ ষ্টেশনে একটি ট্রেন ও বগি বৃদ্ধির দাবী এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। ষ্টেশনে ইঞ্জিন ঘোরানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। টায়াংগেল লাইন নেই দীর্ঘদিন ধরে। দেওয়ানগঞ্জ রেল ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ আব্দুল বাতেন ও টিএক্সআর মোঃ সাইদুর রহমান নয়াদিগন্তকে জানান, ২০১৯ সালে জিল বাংলা চিনিকলের কাছে একটি রেল ব্রিজ বন্যায় ভেঙ্গে যায় যা আজও সংস্কার করা হয়নি। প্রতিদিন ট্রেন চলাচলে ১০/১২ মিনিট সেখানে বিলম্ব হয় এবং কি প্রায় সেখানে চুরি ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে যে কোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।