স্টাফ রিপোর্টার : বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দেওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। যেকোনো সময় ঘটতে পারে সংঘর্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি।
জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসীর মাঝে এই বিবাদমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার, ঘটনাস্থলে সরেজমিন গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিলখ্যিত হয়।
এব্যাপারে দাতা পরিবারের সদস্য ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলটি দীর্ঘদিন যাবত অরক্ষিত ছিল। বর্তমানে স্কুলের চতুর্পাশে ৯০ মিটার নিরাপত্তা দেওয়ালের কাজ হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের অনুপস্থিতিতে কাউকে কিছু না বলে, অন্যায় ভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চাপ প্রয়োগ করে নির্মাণাধীন দেওয়ালের ৫ফুট ভেঙে ফেলেছে স্থানীয় লোকজন। আমরা তার প্রতিবাদ করছি।
এলাকাবাসীর পক্ষে ফয়েজ উদ্দিন বলেন, গত ৫০ বছর যাবত আমরা স্কুলের মাঠ দিয়ে যাতায়াত করছি। পাকা সড়কে উঠার আমাদের আর কোনো রাস্তা নেই। বর্তমানে আমাদের সে পথে দেওয়াল নির্মাণ করায় আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই, আমরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে, চেয়ারম্যানকে জানিয়ে তাদের অনুমতি নিয়ে ঠিকাদারকে বলে দেওয়ালের একটি অংশ ভেঙে নিয়েছি।
তবে, ঠিকাদার পাশা খান বলেন, দেওয়ালের কার্যাদেশে বা নকশায় কোনো ফটক পকেট গেট নেই। তারপরও স্থানীয় লোকজন জোর করে নির্মাণাধীন দেওয়াল ভঙতে আমাকে বাধ্য করেছে। এতে করে আমার কাজের ক্ষতি হয়েছে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও নাংলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ ও কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই দেওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে যদি রাস্তা থাকে বা স্কুলের ভিতর দিয়ে গাড়ি ঘোড়া চলে তাহলে কি নিরাপত্তা থাকবে? তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর যাতায়াতের কথা ভেবে জায়গা কিনে আমরা বিকল্প রাস্তা তৈরি দিয়েছি। তারপরও তারা সেই রাস্তায় চলাচল না করে স্কুলের ভিতর দিয়ে রাস্তা রাখতে দেওয়াল ভেঙেছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়। এটা হতে পারে না।
দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলায় রক্ষায় বিষয়টি আশু নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
বাসুদেবপুর স্কুলের দেওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র দুই পক্ষ মুখোমুখি
