Friday, May 3, 2024
Homeজামালপুরজামালপুরে ব্রহ্মপুত্র ব্রিজে উঠা নামার একমাত্র সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলায় চরম দুর্ভোগের শিকার...

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র ব্রিজে উঠা নামার একমাত্র সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলায় চরম দুর্ভোগের শিকার পথচারী ও শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরে জনদুর্ভোগ নিরসনে এমপি ও মেয়রের সহায়তা চাচ্ছেন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। শেরপুর ও জামালপুর এই দুই জেলার মেলবন্ধন হচ্ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতু। সেতুর এক প্রান্তে শেরপুর, আরেক প্রান্তে জামালপুর। আর এই ব্রহ্মপুত্র ব্রিজে উঠা নামার একমাত্র সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথের পথচারীরা। সিঁড়িটি ভেঙ্গে ফেলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী, চাকুরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত দিনমজুররা। নতুন সিঁড়ি নির্মানের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ নিরসনে জামালপুর সদর-৫ আসনের এমপি মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও জামালপুর পৌরসভার মানবিক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর সহায়তা চান পথচারীরা। জানাগেছে, জামালপুর থেকে পার্শবর্তী শেরপুরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রোড এটি। আগে এই রোডে নদী পাড় হতে একমাত্র ভরসা ছিলো ফেরী ও নৌকা। পরে এই দুই জেলার যোগাযোগ আরো সহজ করতে ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর নির্মান করে দেওয়া হয় ব্রীজ। আর এই ব্রিজ নির্মানের শুরু থেকেই পথচারীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এই সিঁড়ি টি তৈরী দেওয়া হয়। এই সিঁড়ি দিয়ে দৈনিক প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করতো। দীর্ঘদিন এই সিঁড়ি টি পথচারীরা ব্যবহার করলেও হাঠাৎ করে ভেঙে ফেলায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীসহ এই রোডের ব্যবসায়ীরা। সিঁড়ির বিকল্প পথে চলতে গিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকজন পড়ে গিয়ে গুরুতর আহতও হয়েছে। এ বিষয়ে আনিন্দ্য সোহাগ নামে এক পথচারী জানান,ব্রিজের প্রবেশ মুখে সিএনজি স্ট্যান্ড ব্রিজের দক্ষিণ দিকে কোন সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে দিলেই যানজ অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু এখন কেউ যদি ব্রিজের নিচ থেকে উপরে উঠতে চায় তাহলে তাকে ১২০০ মিটার বা প্রায় ১.২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ব্রিজে উঠতে হবে। না হয় ৩০-৫০ টাকা খরচ করতে হবে। এখন সুবিধাজনক জায়গায় সিঁড়ি নির্মাণ করলে দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আরেক পথচারী জানান,যে হেতু সিএনজি স্ট্যান্ড ব্রিজের উপর থেকে সরে গেছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে নতুন একটি সিঁড়ি তৈরী করে দেওয়া হোক এটাই সকলের প্রত্যাশা। বানিয়া বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা স্কুলে যাতায়াতে এই সিঁড়িটি ব্যবহার করতাম। এখন সিঁড়ি টি ভেঙে ফেলায় আমাদের অনেক রাস্তা ঘুরে স্কুলে যেতে হচ্ছে। এবিষয়ে ব্যবসায়ী সিরাজ জানান, এই সিঁড়ি দিয়ে পথচারী চলাচল করা কে কেন্দ্র করে আমরা ব্যাবসা বানিজ্য করে খেতাম। এখন সিঁড়িটি ভেঙে ফেলায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত এই সিঁড়ি টি নির্মান করে দিয়ে জনদুর্ভোগ নিরসনের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পথচারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

Most Popular

Recent Comments