মোহাম্মদ আলী : আব্দুর রউফ (৫৫)। অক্ষরজ্ঞানহীন এক বর্গাচাষি। পড়াশোনা করার সুযোগ হয়নি তার। নিজে অন্ধকারে থাকলেও শিক্ষার আলোয় আলোকিত সন্তানদের। তার ছেলেরা আজ উচ্চ শিক্ষিত। যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান আহরণ করছেন ও ছড়াচ্ছেন। তাই, আব্দুর রউফ গ্রামবসাীর কাছে তিনি এক গর্বীত পিতা।
জানা যায়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের আব্দুর রউফ একজন দরিদ্র চাষি। পৈত্রিকসূত্রে যে জমিটুকু পেয়েছিলেন তা অনেক আগেই নদী নিয়ে গেছে। জীবন ধারণের জন্য সিংহভাগ সময় তিনি অন্যের জমি চাষ করেছেন। এরমধ্যে দিয়েই তিনি ৬টি ছেলেকে শিক্ষিত করেছেন। ৫জনকে ধর্মীয় শিক্ষায় ও ১জনকে সাধারণ শিক্ষায়। তার ১ম ছেলে হাফেজ মাওলানা মুফতী মোঃ শাজিদুল ইসলাম (৩০), আছেন ঢাকার তেজগাঁও আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে। ২য় ছেলে হাফেজ মাওলানা শহিদুল (২৮), ইসলাম চাকুরী করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। ৩য় ছেলে হাফেজ মাওলানা মুফতী ওবায়দুল ইসলাম (২৬), পড়ছেন তেজগাঁও আল জামিয়াতুল ইসলামীয়া কওমী মাদ্রাসা। ৪র্থ ছেলে মোঃ শাহিদুল ইসলাম (২৪) ঢাকা সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। ৫ম ছেলে হাফেজ মাওলানা আল আমিন পড়ছেন তেজগাঁও আল জামিয়াতুল ইসলামীয়ায়। ৬ষ্ঠ ছেলে হাফেজ মাওলানা আমানুল্লাহ পড়ছেন একই মাদ্রাসায়। এব্যাপারে আব্দুর রউফ বলেন, আমি রোদে পুড়েছি বৃষ্টিতে ভিজেছি। অন্যের জমিতে গোলামী করেছি। কিন্তু, আমার ছেলেদের গায়ে সে কষ্টের ছূয়া লাগতে দেই নাই। আমার জীবন কেটেছে অন্ধকারে তাদের জীবন হউক জ্ঞানের আলোয় আলোকিত। এটা আমার সফলতা।